এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানির অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে, তুললেন দলীয় নেতাই

চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার কাটমানির অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে, তুললেন দলীয় নেতাই

 

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পেছনে দলের জনপ্রতিনিধিদের একাংশের দুর্নীতি যে প্রধানভাবে দায়ী, তা ফলাফল পর্যালোচনায় উঠে এসেছিল। যার পরেই দলের শৃঙ্খলা আনতে এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। “দিদিকে বলো” প্রকল্প এনে নিজেদের কর্মীদের বিরুদ্ধেও যদি কোনো মানুষের কোনো অভিযোগ থাকে, তা সরাসরি নেত্রীর কাছে জানাতে পারেন বলেও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটাই স্বচ্ছতা ফিরে আসছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূলের একাংশ।

কিন্তু এবার ছোটখাটো কোনো নেতা-কর্মী নয়, মালদহের গাজোল বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সুশীলচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল। যে ঘটনায় এখন প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর, দলের এই প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে আশা কর্মীর চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই বুথ কর্মী শ্যামল সরকার।

ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি “দিদিকে বলোতে” ফোন করেও তিনি তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান শ্যামলবাবু। তাঁর অভিযোগ, সুশীল চন্দ্র রায় যখন বিধায়ক ছিলেন, তখন তার স্ত্রীকে আশা কর্মী হিসেবে নিয়োগ পত্র দেওয়ার নাম করে কাটমানি বাবদ তিনি এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্যামলবাবুর স্ত্রী কোনো নিয়োগপত্র পাননি। আর বিধায়কও কাটমানি হিসেবে নেওয়া টাকা ফেরত দেননি‌। আর তাই এবার এই ব্যাপারে সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। আর তৃণমূলের একজন বুথস্তরের কর্মী দলের প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ জেলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, আগামী 19 তারিখ মালদহে আসছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে সামান্য বুথ কর্মীর প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও বা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজোল বিধানসভার তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সুশীলচন্দ্র রায়।

এদিন তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি অভিযোগ এনেছেন, আমি তাকে চিনি না। হঠাৎ করে থানার বড়বাবুর কাছ থেকে শুনছি, এক ব্যক্তি আমার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ধরনের অভিযোগের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। দলের নেতারাই আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।” এদিকে এই প্রসঙ্গে গাজোলের বর্তমান তৃণমূল বিধায়িকা দিপালী বিশ্বাস বলেন, “টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আইন আইনের পথেই চলবে।”

এই প্রসঙ্গে মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, “এ ধরনের অভিযোগের কথা শুনেছি। এমন অভিযোগ তো অনেক ওঠে। সত্য কিনা, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” আর মালদহ জেলায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এইভাবে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলেরই কর্মী তোলায় সেই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে এখানে তৃণমূল প্রবল বিপাকে পড়তে চলেছে। যার ফায়দা অনেকাংশেই তুলতে পারে বিরোধীরা বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!