এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “কিছু পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করেছে” বিস্ফোরক মমতা!

“কিছু পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করেছে” বিস্ফোরক মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। আর সেই সময় থেকে রাজ্য সরকার থাকলেও, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকে নির্বাচন কমিশনের। আর রাজ্যে নির্বাচন করার সময় একাধিক জেলায় পুলিশ প্রশাসনে বদল ঘটাতে দেখা যায় নির্বাচন কমিশনকে। যা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যুর পর বেশ কিছু পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। আবার তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে সোমবার কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী। যেখানে কয়েকজন পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল বলে অভিযোগ করতে দেখা গেল তাকে।

সূত্রের খবর, সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “কয়েকজন পুলিশ বিজেপির হয়ে আসরে নেমেছিল। সেই সব পুলিশ অফিসার মনে করে, ঠিক কাজ করেছে। আমি মনে করি না। আইন সামলানোর দায়িত্ব পুলিশের।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে আসানসোল দক্ষিণ, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের অনেক পদস্থ কর্তাকে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়। যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সমস্ত পুলিশকর্তাদের তারিফ করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এই নির্বাচনে কিছু পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করেছে বলে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলে সেই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই কারণেই শপথ নেওয়ার আগে নির্বাচনের সময়কার কথা তুলে ধরে এই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের যে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন বলেই অভিযোগ করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!