এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ‘ক্ষমতা’ প্রমানে তীব্র দ্বন্দ্ব দুই তৃণমূলী হেভিওয়েটের! বিভ্রান্ত নীচুতলা, ছত্রখান সংগঠন?

‘ক্ষমতা’ প্রমানে তীব্র দ্বন্দ্ব দুই তৃণমূলী হেভিওয়েটের! বিভ্রান্ত নীচুতলা, ছত্রখান সংগঠন?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গে শুধু দলের নিম্ন স্তরেই নয়, উচ্চস্তরেও যথেষ্ট দলীয় কোন্দল অব্যাহত। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সে জায়গায় ঘাঁটি গড়ে গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের গোড়ায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গের হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারে। কিন্তু সে জায়গায় সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে বিরোধী দলে ভাঙন ধরানো নিয়েও শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দলের উচ্চ পর্যায়ে।

এক্ষেত্রে দলের নিম্নস্তরের কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। কালচিনির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা এবং দলের কো-অর্ডিনেটর পাশাং লামার মধ্যেই মূলত তীব্র দ্বন্দ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। আর তার ফলে মোহন শর্মা শিবির বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের দলে যেরকম যোগদান করাচ্ছে ঠিক সেভাবেই কো-অর্ডিনেটর পাশাং লামার শিবিরও বিরোধীদের কালচিনি থেকে আলিপুরদুয়ারের জেলা পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে দলে যোগদান করাচ্ছে। কিন্তু সবথেকে বিতর্কিত বিষয় হল- দুই দলের কেউই কাউকে বিরোধীদের দলে যোগদান করার ব্যাপারটি জানাচ্ছে না।

মনে করা হচ্ছে, এতে দলীয় সমন্বয় বিঘ্নিত হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি কেন্দ্রে কান পাতলে মোহন শর্মা শিবির থেকে শোনা যায়, তাঁকে কিছুটা কোণঠাসা করার জন্যই কো-অর্ডিনেটর পদে নিয়ে আসা হয়েছে পাশাং লামাকে। প্রসঙ্গত, বুধবার কালচিনির চুয়াপারা জয়গাঁ 1ও 2 ও রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিমল গুরুং পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবির থেকে প্রায় 125 টি পরিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। এক্ষেত্রে জানা গেছে, মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছেন দলের কো-অর্ডিনেটর পাশাং লামা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা শিবির এদিন সন্ধ্যায় কালচিনির দলসিংপাড়া এলাকায় জিএসটি মোড়ে স্থানীয় বিরোধী লরি ও অটোচালকদের মধ্য থেকে প্রায় 600 টি পরিবারকে তৃণমূলে যোগদান করায়। এই দলবদল অনুষ্ঠানে মোহন শর্মা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালচিনি ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার। প্রসঙ্গত পাশাং লামা কো-অর্ডিনেটর পদে আসার পর কালচিনি ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্বকে। যদিও জেলা নেতৃত্ব তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বলেই জানা গেছে। তবে এই দলবদল নিয়ে ইতিমধ্যেই পাশাং লামা ও মোহন শর্মার মধ্যে লেগেছে দ্বন্দ্ব।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে পাশাং লামা জানিয়েছেন, একজন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে তিনি ব্লক থেকে জেলায় লোক নিয়ে গিয়ে যোগদান করিয়েছেন। তবে মোহন শর্মা উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটিই জেলা নেতৃত্বকে জানানো উচিত ছিল‌। অন্যদিকে মোহন শর্মা জানিয়ে দেন, তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে এই সমস্ত কথা বলেছেন। বাদবাকি অন্য কারোর কথা শোনার জন্য যে তিনি এই মুহূর্তে তৈরি নন, সে বিষয়টিও পরিষ্কার করে দেন। এ প্রসঙ্গে দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী অবশ্য দলের অসমন্বয়ের ব্যাপারটি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।

সে ক্ষেত্রে তিনি মোহন শর্মা এবং পাশাং লামা দুজনের কাজকেই উচিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন।বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কিন্তু উত্তরবঙ্গের ভিত এখনও নড়বড়ে তৃণমূল শিবিরের। তবে এই ব্যাপক দলবদল নিয়ে অবশ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উত্তরবঙ্গে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাত ধরে যেভাবে দলবদল করাচ্ছে, তাতে কিন্তু সাংগঠনিক ভিত মজবুত হওয়ার পথে। কিন্তু সেখানে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই অবস্থা থেকে উত্তরবঙ্গকে উদ্ধারের জন্য দলীয় নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সে দিকেই নজর থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!