এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একই তৃণমূল নেতা ভিন্ন নাম দুই জেলায় দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে! ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে শাসকদলে!

একই তৃণমূল নেতা ভিন্ন নাম দুই জেলায় দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে! ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে শাসকদলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি গঠন হতে শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন কমিটি গঠন হলেও সেঈ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ অব্যাহত। কিছুদিন আগেই কোচবিহার জেলা কমিটি গঠন হওয়ার পর সেখানকার বেশ কিছু নেতারা ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে দেখা গেছে কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে।

আর এবার কোচবিহার জেলা কমিটিতে পার্শ্ববর্তী জেলা আলিপুরদুয়ারের এক নেতাকে সহ-সভাপতি করে দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হল। যেখানে জেলার নেতারা ঠিক মত জায়গা পাচ্ছেন না, সেখানে পাশের জেলার তৃণমূল নেতাকে কিভাবে কোচবিহার জেলা কমিটিতে নিযুক্ত করা হল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অনেকে বলছেন, বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের সমস্ত দিক সামলাচ্ছেন।

ফলে তার কড়া নজর থাকা সত্ত্বেও কেন কোচবিহার জেলার কমিটিতে পার্শ্ববর্তী জেলার এক নেতা স্থান পেলেন, তা নিঃসন্দেহে গুঞ্জনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2 অক্টোবর কোচবিহার জেলার নতুন জেলা কমিটি এবং ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে 13 জনকে সহ-সভাপতি এবং 14 জনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আটজনকে সম্পাদক করা হয়। তবে নতুন সহ-সভাপতিদের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা এবং সেখানকার আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি প্রনব দে’কে জায়গা দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দা হওয়ার সত্ত্বেও কেন তাকে কোচবিহার জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া হল? তবে এই প্রণব দে’ কে নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে উঠেছে। জানা গেছে, কোচবিহারে যাকে সহ সভাপতি করা হয়েছে, তার নাম মানিক দে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মানিক দে এবং প্রণব কুমার দে একই ব্যক্তি। কিন্তু কেন তাকে কোচবিহার জেলার কমিটিতে জায়গা দেওয়া হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রণব কুমার দে বলেন, “আমার নাম প্রণব কুমার দে। ডাক নাম মানিক দে। আমি আলিপুরদুয়ার জেলার আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি পদে রয়েছি। কোচবিহার জেলা কমিটিতে আমাকে সহ সভাপতি করা হয়েছে। তবে কেন বা কিভাবে এটা হল জানি না। যারা কমিটির তালিকা তৈরি করেছেন, তারাই বলতে পারবেন।” এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “কে কাকে কোথায় পদে বসাচ্ছেন, কেউ বুঝতে পারছেন না। দলের কি হয় হোক। নিজেদের কাছের লোককে পদ দেওয়াটাই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

কিন্তু এত বড় ভুল হল কি করে? এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সবটাই রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছে। এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।” তবে প্রশান্ত কিশোরের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও অন্য জেলার তৃণমূল নেতা কিভাবে কোচবিহার জেলার কমিটিতে জায়গা পেলেন, তা নিঃসন্দেহে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!