এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতায় ঝটিকা সফরে এসে দুর্গাপুজো কমিটি ও ছোট কোম্পানি নিয়ে বড়সড় নির্দেশ নির্মলা সীতারমনের

কলকাতায় ঝটিকা সফরে এসে দুর্গাপুজো কমিটি ও ছোট কোম্পানি নিয়ে বড়সড় নির্দেশ নির্মলা সীতারমনের

বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা। কিন্তু সম্প্রতি আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যের বেশ কয়েকটি নামিদামি পুজো কমিটিকে নোটিশ পাঠানোয় রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, বাঙালির ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলার উৎসবকে বিপর্যস্ত করতে চাইছে আয়কর দপ্তর বলে পথে নেমেছে তৃণমূল। কিন্তু এবার বাংলায় এসে এই ব্যাপারে কিছুটা অন্যরকম বক্তব্য শোনা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সিতারামনের গলায়।

সূত্রের খবর, শুক্রবার ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আর সেখানেই এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই রাজ্যে আয়কর নিয়ে কতটুকু এগতে হবে, অফিসারদের তারই আভাস দিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, “ঋষি অরবিন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাংলায় সংস্কৃতির যে নবজাগরণ হয়েছে, তাকে রক্ষা করতে হবে।”

আর অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার কলকাতায় এসে সেই দুর্গাপুজো নিয়েই নির্মলা সীতারামন মুখ খোলায় তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যে আয়কর নিয়ে এত কাণ্ড, ইনকাম ট্যাক্সের শীর্ষস্থানীয় অফিসারদের সামনে তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

বরংঞ্চ তিনি বলেন, “বাঙালির প্রাণের উৎসবে সবাই মাতুন।” একাংশের মতে, এদিনের বৈঠকে আয়কর দফতরের কর্তাদের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সরাসরি কিছু না বললেও তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বাংলার পুজো নিয়ে তাঁর মনোভাব। আর তাই আয়কর দপ্তরও যাতে নোটিস পাঠানোর বিষয়টিতে কঠোর না হয়, তারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে এদিন জিএসটি এবং আয়কর কর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে হাজির ছিলেন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-এর চেয়ারম্যান প্রমোদচন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে।সূত্রের খবর, সেখানেই ছোট শিল্পে আয়কর হেনস্তার প্রসঙ্গ তোলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকে এখনও ‘সেল কোম্পানি’র নোটিস ধরানো হচ্ছে। অথচ আমি বাজেটে স্পষ্ট বলেছি, এই কাজ করা যাবে না। আমার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। অফিসাররা আমাকে বলেছেন, কাগজে নির্দেশ না থাকার কারণেই এই সমস্যা।”

আর এরপরই নির্মলা সীতারামন বলেন, “এই অজুহাতে করদাতাদের হেনস্তা করা যাবে না। কাগুজে নির্দেশিকা চাইতে ‘বসদের’ উপর চাপ তৈরি করুন। বসদের হেনস্তা করুন, করদাতাদের নয়।” তবে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বাংলায় এসে আয়করের ব্যাপারে এই ধরনের কথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বললেও আমি জনপ্রিয় অর্থমন্ত্রী হতে চাই না। তবু বলছি, কোনও অফিসারের সমস্যা হলে আমাকে সরাসরি জানান বলে নিজের মহানুভবতারও পরিচয় দেন নির্মলা সীতারামন।

পাশাপাশি আয়কর দপ্তরের কাজে যে তিনি খুশি, এদিন তাও স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আয়কর দপ্তর ভালো কাজ করছে। কিন্তু কয়েকজন অফিসারের কারণেই বদনাম হচ্ছে দপ্তরের।” তবে অর্থমন্ত্রী এদিন ছোট স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি নিয়েই মূলত ক্ষোভের কথা বলেছেন বলে দাবি অফিসারদের।

শুধু তাই নয়, এতদিন রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোকে আয়কর দপ্তরের নোটিশ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কেন্দ্রের প্রতি সরব হতে শুরু করেছিলেন, তাতে সেই ব্যাপারে আয়কর দফতরের কর্তাদের নির্দেশিকা দিয়ে রাজ্য সরকারের সেই ক্ষোভে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!