এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্ণাটক নিয়ে লাফালাফি! মমতার ঘুম কেড়ে নিলেন শুভেন্দু!

কর্ণাটক নিয়ে লাফালাফি! মমতার ঘুম কেড়ে নিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কর্নাটকে বিজেপির পরাজয় এবং কংগ্রেসের জয়লাভের পরেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিজেপিকে কটাক্ষ করে ২০২৪ এ সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলো মিলে জোট করার কথা বলছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বেশি খুশি হয়েছেন। তার দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস চেয়েছে যে যেখানে শক্তিশালী, তারা সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই দিক। আর কর্নাটকে তার প্রতিফলন হয়েছে। যদিও বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কতটা বিজেপি বিরোধীতার ক্ষেত্রে মেনে নেবে কংগ্রেস বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো, তা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।

 

তবে তৃণমূল থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যতই কর্ণাটকের ফলাফল নিয়ে উজ্জীবিত হোক না কেন, এবার তাদের ঘুম কেড়ে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে কর্ণাটকের ফলাফল নিয়ে লাফালাফি করার কিছু নেই বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে আবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

 

সূত্রের খবর, এদিন একটি সভায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “কর্নাটক নিয়ে লাফালাফি করার কিছু নেই। 11 টি রাজ্যে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে 8 টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগামী দিনে, আপ কি বার চারশো পার।” অর্থাৎ এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্নাটকের ফলাফলের পর যতই উজ্জীবিত হন না কেন, তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। আগামী দিনে আবার ক্ষমতায় আসবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

যদিও বা শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যকে মান্যতা দিতে নারাজ শাসক শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। তৃণমূলের একাংশের দাবি, সিদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। খবরের শিরোনামে টিকে থাকতেই এই ধরনের কথা বলছেন। গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে হাওয়া চলে গিয়েছে। ২০২৪ এ বিজেপি বিরোধী সরকার তৈরি হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে বিজেপি বিরোধী দলগুলো এক ছাতার তলায় আসতে পারল না, সেখানে কি করে জোট সরকার তৈরি করার কথা ভাবছে তারা!

তবে সাথে সাথে এটাও ঠিক যে, কর্নাটকে যেভাবে কংগ্রেসের সরকার তৈরি হয়েছে এবং বিজেপি বিদায় নিয়েছে, তাতে গেরুয়া শিবিরকে এখন থেকেই গোটা দেশের নির্বাচন নিয়ে ভাবতে হবে। আত্ম সমালোচনার মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে কিভাবে তারা ভোট বৈতরনী পার হবে, তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!