এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন ৫ নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত এল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে! দেশজুড়ে বাড়ছে জল্পনা

লকডাউন ৫ নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত এল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে! দেশজুড়ে বাড়ছে জল্পনা


গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের বুকে হানা দেয় মারণ ভাইরাস করোনা। করোনার হাত থেকে তড়িঘড়ি দেশকে রক্ষা করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে সেই মুহূর্তে শুরু হয় দেশজুড়ে লকডাউন। বর্তমানে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। এই চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হবার কথা আগামী 30 শে মে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তাই এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এই অবস্থায় যদি লকডাউন উঠে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়, তাহলে বলাইবাহুল্য সংক্রমণ ছড়াতে যতটুকু বাধা পড়েছিল, তা উঠে গিয়ে প্রবল হারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ, লকডাউন পঞ্চম দফায় অন্তত আরো দু সপ্তাহ চলুক। তবে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস বলে জানা গেছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, লকডাউন হওয়ার ফলে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও রোধ করা গেছে। জানা যাচ্ছে, আগে গড়ে 3.4 দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছিল। কিন্তু লকডাউন চলার ফলে এখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় 13.9 দিনে।

আপাতদৃষ্টিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এটি একটি সুখবর। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় 70 শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে কো মরবিডিটিজের কারণে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, লকডাউন এর ফলে করোনার সংসারের বেশ বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। আর তাই তাঁদের পরামর্শ, আগামী পয়লা জুন থেকে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন না তুলে বরং বাড়তি কিছু ছাড় দিয়ে আরো 14 দিন যাতে লকডাউন বাড়ানো হয়। সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলি থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই প্রস্তাব জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কথা অনুযায়ী কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন 10 টি শহরে যেখানে করোনা সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি, সেখানে রীতিমতো কড়াকড়ি রাখতেই হবে। না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে দ্রুত। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই 10 টি শহরেই দেশের করোনা আক্রান্তের প্রায় 72% রয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা হলেও পজিটিভ বার্তা দেওয়ার জন্য দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা তুলে ধরার বদলে এই মুহূর্তে কতজন মানুষ সুস্থ হচ্ছেন এবং কতজন মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাই প্রচার করা চলছে।

জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার হার 41.61 শতাংশ। অন্যদিকে দেশজুড়ে করোনা টেস্টের সংখ্যাও এই মুহূর্তে বেড়েছে। এতদিন উপসর্গহীনদের ক্রনা টেস্ট এর আওতায় আনা হচ্ছিল না। এবার পদ্ধতি পাল্টানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিশেষ এলাকায় সেরা টেস্ট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে লকডাউনের মধ্যে সচেতনতা বজায় রেখে সংক্রমণ বেড়ে ওঠার হারে বাধা দেওয়া গেছে, তাতে আগামী দিনে ভারত খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত দেশ হয়ে ওঠার পথে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে।

অনেকের মতে আবার আগামী দিনের ভারত করোনা মুক্ত দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছাতে পারবে। যদিও বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা পরিস্থিতি থেকে প্রতিষেধক না মেলা পর্যন্ত পুরোপুরি নিস্তার পাওয়া যাবে না। তাই এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন কোণে অতি তৎপরতার সঙ্গে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর পরিকল্পনা চলছে। আপাতত দেখার, আগামী 30 শে জুনের পর লকডাউন কি পঞ্চম দফায় পা দিতে চলেছে নাকি অর্থনীতির হেলে পড়া আটকাতে এখানেই হতে চলেছে লকডাউনের ইতি?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!