এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউন 4 চালু হলেও আগামী দুই সপ্তাহেই বাংলাকে পুরোপুরি সচল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা

লকডাউন 4 চালু হলেও আগামী দুই সপ্তাহেই বাংলাকে পুরোপুরি সচল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা


চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা ভারতবর্ষে। প্রথমদিকে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যে করোনা ভাইরাস চূড়ান্ত আকার ধারণ করলেও, সেই সময় স্থিতাবস্থা বজায় ছিল বাংলায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। তবে দীর্ঘদিন লকডাউন চলার কারণে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সকলেই।

এমতাবস্থায় এবার করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও, রাজ্যের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাকে সচল করার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু যেখানে ভাইরাসের প্রবণতা বাড়ছে, সেখানে লকডাউনকে শিথিল করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা ঘোষণা কি সেই ভাইরাসকে আরও বাড়িয়ে দেবে না! এখন তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ।

ঠিক কি কি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আগামী 21 মে থেকে মাঝারি এবং বড় দোকান খোলা হবে। পাশাপাশি আগামী 27 তারিখ থেকে খোলা হবে সেলুন এবং বিউটি পার্লার। শুধু তাই নয়, অটো চালুর ক্ষেত্রেও সবুজসংকেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে অটোতে দুজন করে যাত্রী নিয়ে চলা যাবে।

এদিন রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এ জোন হচ্ছে এফেক্টেড জোন। যেখানে সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। বি জোন হচ্ছে বাফার জোন। যেখানে কম কড়াকড়ি হবে। তবে নজর রাখতে হবে। কিছু ছাড় দেয়া হবে। আর সি জোন হচ্ছে ক্লিন জোন। সি জোনে সমস্ত কিছু খোলা থাকবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নাইট কার্ফু জারি করা হলেও, সেই শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন্দ্র 31 মে পর্যন্ত লকডাউন মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। আমরাও তা মেনে চলব। কিন্তু নাইট কার্ফু শব্দটাতে আমার আপত্তি রয়েছে। আমি সকলকে বলব, সন্ধ্যে সাতটার পর বাড়ি থেকে বেরোবে না। ভিড় এড়িয়ে চলুন। সামাজিক অনুষ্ঠানে এতদিন সাতজনকে ছাড় দেওয়া হত। আমরা তা বাড়িয়ে 15 করলাম। তবে বাড়িতে বসে ঈদের নামাজ পড়ুন। সকলকে অনুরোধ করব, করোনাকে আমাদের আটকাতেই হবে।”

এদিকে হোটেলে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করা হবে। তাই হোটেল খোলার ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চতুর্থ দফার লকডাউনের শুরুর সময় হঠাৎ করেই এত ছাড় দেওয়ায় এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, যখন রাজ্যে প্রথম লকডাউন শুরু হয়েছিল, তখন অনেকেই তা না মেনে সামাজিক দূরত্বকে উপেক্ষা করে বাইরে বেরোতে শুরু করেছিলেন।

কিন্তু এবার কিছুটা ছাড় দেওয়াতেই সাধারণ মানুষ যে আরও বাইরে বেরোবেন এবং তার ফলে যে সংক্রমণ বাড়বে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়! এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। যদি এই ছাড় দেওয়া হয় তাহলে সংক্রমণ যদি আরও বাড়তে শুরু করে, তখন পরিস্থিতিকে আটকানো সত্যিই হাতের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!