এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লকডাউনের জেরে চাকরি হারিয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, আর্থিক সমস্যায় একই পাড়ায় তিনজন আত্মঘাতী

লকডাউনের জেরে চাকরি হারিয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, আর্থিক সমস্যায় একই পাড়ায় তিনজন আত্মঘাতী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – টানা তিন মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে। মানুষ ঠিকমত বাইরে বেরোতে পারছেন না। ক্ষেত্রবিশেষে সেই লকডাউনে ছাড় দেওয়া হলেও, অনেকের মধ্যেই বাড়িতে থেকে তৈরি হয়েছে হতাশা। এবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কয়েক শ ফুটের ব্যবধানে বাড়িতে তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে দিল হাওড়ার হালদারপাড়ায়। ‌ জানা গেছে, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যুবক একজন প্রৌঢ় এবং একজন বৃদ্ধ। কিন্তু ঠিক কী কারণে পরপর বাড়ি থাকা তিন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলেন?

জানা গেছে, তিনজনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের সময় মানুষ প্রবল অবসাদে ভুগছেন। আর তার কারণেই এই তিন ব্যক্তি আত্মহত্যাকে বেছে নিয়েছেন। বস্তুত, রবিবার সকাল সাতটার সময় নিজের ঘরের সিলিং থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সুনীলকুমার আঢ্য নামে 62 বছরের এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লকডাউনের জন্য পরিবারে আর্থিক সমস্যা চলছিল‌।

আর তার কারণেই তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে। অন্যদিকে সেই বাড়ি থেকেই কয়েক ফুট দূরে কুড়ি বছরের যুবক চয়ন রায়ের ঝুলন্ত দেহ কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে আঘাত পাওয়ার জন্য এই যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আর তার ফলেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এদিকে এই ঘটনার কিছু সময় কাটতে না কাটতেই সেই এলাকাতেই 50 বছর বয়সী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যে চাকরি চলে গিয়েছিল রাজীববাবুর। পরিবারে চলছিল চরম আর্থিক অনটন। তাই শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হয়েছে তাকে। একই পাড়াতে কয়েকশো ফুটের ব্যবধানে থাকা তিন বাড়িতে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা তিন ব্যক্তির আত্মহত্যা নয়া আতঙ্ক তৈরি করেছে হাওড়া জুড়ে। অনেকে বলছেন, লকডাউন পরিস্থিতি যদি কিছুটা শিথিল হত, যদি মানুষ একটু বাইরে বেরোতে পারতেন, তাহলে হয়ত এই রকম অবস্থার সম্মুখীন হতে হতো না কাউকে।

এদের এই প্রসঙ্গে মনস্তত্ত্বের চিকিৎসক রিমা মুখোপাধ্যায় বলেন, “একজন অবসাদগ্রস্তের আত্মহত্যা দেখে আর একজন অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিরও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। কবে এই পরিস্থিতি বদলাবে বা আদৌ বদলাবে কিনা, তা নিয়ে ভেবেই তীব্র হতাশা তৈরি হচ্ছে্ আর তা থেকেই এমন তীব্র মানসিক অবসাদ।” তবে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব পালন করে মানসিক দূরত্ব যাতে তৈরী না হয়, তার জন্য বারবার বলা হলেও, এই ঘটনা কার্যত প্রমাণ করে দিল যে, লকডাউনের মধ্যে মানুষ খুব একটা ভালো নেই। আর তাই আর্থিক অনটন হোক বা ব্যক্তিগত সমস্যা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৃহবন্দী মানুষ এখন আত্মহত্যার পথকেই সম্বল হিসেবে বেছে নিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!