এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লোকসভায় বড়সড় ঠ্যালা পাবেন মমতা ! শূন্যের নীচে নামবে তৃনমূলের আসন? ভয়ঙ্কর তথ্যে উত্তাল রাজ্য !

লোকসভায় বড়সড় ঠ্যালা পাবেন মমতা ! শূন্যের নীচে নামবে তৃনমূলের আসন? ভয়ঙ্কর তথ্যে উত্তাল রাজ্য !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি নিজেদের আসন ধরে রাখতে না পারায় তাদের কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ের আনন্দে মেতে উঠে শাসকদল দাবি করছে, আগামী দিনে লোকসভায় এই সমস্ত কেন্দ্রে বিপুল জয় পাবে তারা। কিন্তু সত্যিই কি তা সম্ভব হবে তৃণমূলের পক্ষে! গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বিধানসভা উপনির্বাচন হয় যে দল সরকারে থাকে, তার পক্ষে। ফলে এখানেও তাই হয়েছে। তবে তাদের চ্যালেঞ্জ, আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ছাড়া কেউ কোনো আসন পাবে না। কার্যত জামানত জব্দ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের।

প্রসঙ্গত, ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজেদের কেন্দ্র হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হতাশ গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা। তৃণমূল জয়ের সেলিব্রেশন করার মাঝে বিজেপিকে আরও বেশি করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। আর সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিয়েছেন বিজেপি নেতারাও। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এই ফলাফলে খুশি। তবে জয়টাই শেষ কথা। তাই আমরা জিততে পারিনি, এটা একটা কারণ। তবে মিলিয়ে নেবেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল একটিও আসন পাবে না। সব আসনে জয়লাভ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি।” কিন্তু কেন হঠাৎ উপনির্বাচনের পরাজয়ের পর এতটা আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি? হেরে যাওয়ার পর যখন সকলে মুষড়ে যায়, সেখানে আগামী নিয়ে কেন এত সম্ভাবনাময় বিজেপি নেতা!

একাংশের দাবি, আগামী লোকসভা ভোট হবে নরেন্দ্র মোদীকে দেখে। তাই সেখানে বিজেপির জয় অবশ্যম্ভাবী। বিগত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। একটি উপনির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে গেলেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির জমি নরম হয়ে যাবে না। এক বছর পর যে লোকসভা নির্বাচন আসছে, সেখানে এই উত্তরবঙ্গের ফলাফল দেখেই বড়সড় ঠ্যালা পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি নেতাদের এই আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। উপ নির্বাচনের সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভার নির্বাচনের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

দুর্নীতি থেকে শুরু করে বেকার সমস্যা, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সরকারের উপর কার্যত বিরক্ত সাধারণ মানুষ। ফলে যে উত্তরবঙ্গে বিজেপির এত জনসমর্থন এবং শক্ত জমি রয়েছে, সেখানে ধুপগুড়িতে তাদের পরাজয় ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে না। তাই সেদিক থেকে বিজেপি নেতাদের লোকসভা নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি এবং স্বপ্ন রয়েছে, তা পূর্ণ হলে খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার নয়। বরঞ্চ তৃণমূল যদি ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নাচতে শুরু করে এবং ভেবে নেয় যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সব জায়গাতেই ঘাসফুল ফুটবে, তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। লোকসভায় যদি উত্তরবঙ্গে তৃণমূল শূন্যেও নেমে যায়, তাহলেও খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার নয়। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!