এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের রাজ্যপালকে কদর্য আক্রমণ, শেষ সীমা ছাড়ালেন ব্রাত্য ! আলোড়ন রাজ্যে !

ফের রাজ্যপালকে কদর্য আক্রমণ, শেষ সীমা ছাড়ালেন ব্রাত্য ! আলোড়ন রাজ্যে !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী একের পর এক রাজ্যপালের দিকে ছুড়ে দিচ্ছিলেন আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যে লড়াইয়ে নেমেছেন, তার শেষ পর্যন্ত লড়বেন। তবে এরপর আবার সেই রাজ্যপালকে কদর্য আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যেখানে রাজ্যপালকে বিচারক এবং ফাসুরে বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। মূলত, যে সমস্ত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হেনস্থা সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন রাজ্যপাল, সেই সমস্ত উপাচার্যদের পক্ষ নিয়েই সাংবিধানিক প্রধানকে বেলাগাম আক্রমণ করতে দেখা গেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্যদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রীদের হেনস্থা সহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একাধিক ঘটনায় তারা অভিযুক্ত। আর তা নিয়েই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সমস্ত উপাচার্যদের পক্ষ অবলম্বন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যেখানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপাল সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন। তিনি এই সমস্ত বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। এই সমস্ত কথা বলে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনিই বিচারক আবার তিনিই ফাসুরে। অর্থাৎ তিনিই বিচার করছেন এবং তিনিই ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।” অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রী আরও একধাপ উপরে উঠে সাংবিধানিক প্রধানকে রীতিমতো অপমান করলেন। অন্তত তেমনটাই বলছে বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, এই রাজভবন থেকেই মন্ত্রী হওয়ার সময় শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রীরা। তারা জনতার রায়ে নির্বাচিত হতে পারেন। কিন্তু সংবিধান বলে তো একটা বিষয় রয়েছে। সেখানে রাজ্যপালকে কার্যত অমান্য করে তাকে একের পর এক কুরুচি সম্পন্ন ভাষায় আক্রমণ করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত! উপাচার্য নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর এই আক্রমণ সব সীমাকে লংঘন করেছে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। এবার অন্তত রাজ্যপালের কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন বলেই আশা করছেন তারা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাজ্যপাল যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছেন। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের মানতে চাইছে না রাজ্য। কিন্তু তাতে থোরাই কেয়ার রাজ্যপালের। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তার আইনগত এক্তিয়ার রয়েছে। তাই তিনি এই কাজ করেছেন। আর তাতেই গাত্রদাহ হচ্ছে রাজ্য সরকারের। যার কারণে কিছু করতে না পেরে একতরফা সাংবিধানিক প্রধানকে যা ইচ্ছে, তাই বলতে শুরু করেছেন মন্ত্রী মহোদয়। তবে রাজ্যপাল খুব কম মুখ খোলেন। তিনি যা করেন, খাতায়-কলমে। তাই মন্ত্রী মহোদয়ের এই একতরফা আক্রমণ যদি রাজ্যপালের কলমের খোচায় বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার শামিল হয়, তাহলে তাতে রাজ্যের হাঁসফাস হওয়ার অবস্থা হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!