এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশে পথ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে সমীক্ষায় উঠে এলো বিস্ফোরক তথ্য, জানুন বিস্তারিত!

দেশে পথ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে সমীক্ষায় উঠে এলো বিস্ফোরক তথ্য, জানুন বিস্তারিত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যতই মুখে বলা হোক safe drive save life, কিন্তু মানুষের মনে সচেতনতা জাগানো যে পুরোপুরি সফল হয়নি, সেকথা বোঝা যাচ্ছে।কারণ এত প্রচারের পরেও দেশে দুর্ঘটনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুই বিশেষ হেরফের হতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর আসছে প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি, পথ পরিবহন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশে মোট ৪লাখ ৬৭ হাজার ৪৪ টি পথ দুর্ঘটনা হয়েছিল বলে জানা যায়। ২০১৯ সালে তা কমে মোট ৪ লাখ ৪৯ হাজার ২টি দুর্ঘটনা হয়। অন্যদিকে, যেখানে ২০১৮ সালে মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে ২০১৯ সালে তা কমে ১ লাখ ৫১ হাজার ১১৩ জন হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেই সঙ্গে হিসাব করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি পথ পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন বলে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মৃত্যুই হেলমেট না পরার ফলে হয়েছে। অন্যদিকে, ১৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সিটবেল্ট না বাঁধার কারণে। কিন্তু ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে মোবাইল ব্যবহার করতে করতে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পরিমাণ ৩৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গেছে।

ফলে এই সমীক্ষা থেকে যোঝা যাচ্ছে, দুর্ঘটনা বা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কারণ হিসেবে মূলত হেলমেট না পরা বা সিটবেল্ট না বাঁধাকে দায়ী করা হলেও সমস্যা রয়েছে অন্য জায়গায়। এক্ষেত্রে কিন্তু গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অনেকটাই চিন্তায় ফেলেছে মানুষকে। বস্তুত, দেখা গেছে, দুর্ঘটনার তালিকায় শীর্ষ স্থানে থাকা পাঁচটি রাজ্য হল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমীক্ষায় দেখা গেছে, মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে মৃত্যুর পরিমাণ গত দুই বছরে সবথেকে বেশি বেড়েছে। ২০১৯ সালে এই কারণে যেখানে ৪ হাজার ৯৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে ২ হাজার ৬৫০ জন শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই মারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালে মোবাইলের কারণে দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৭০৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৯ সালে গাড়ি চালাতে গিয়ে যে মোট ৫৬ হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ৪৪ হাজার ৬৬৬ জন হেলমেট না পরে থাকায় মারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে গত এক বছরে ৭ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। সেইসঙ্গে একই কারণে মহারাষ্ট্রে ৫ হাজার ৩২৮ জন, দিল্লিতে ১৮৭ জন, মধ্যপ্রদেশে ৩ হাজার ৮১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সেইসঙ্গে সিটবেলট না বাঁধার কারণে গতবছর মোট ২০ হাজার ৮৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় তা ১৪.৫ শতাংশ কম থাকলেও, সিটবেল্ট না বাঁধায় চালকের মৃত্যুর ঘটনা ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ২.৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে এখনও দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতির ফলে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালে অতিরিক্ত গতির ফলে ৯৭ হাজার ৫৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল পরে তা ২০১৯ সালে বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার হয় বলে জানা যায়।

তবে এক্ষেত্রে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এত সতর্কতা প্রচার করার পরেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দুর্ঘটনার সংখ্যাকে কিছুতেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। বস্তুত মানুষের মধ্যে সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করাটা যে কতটা প্রয়োজন, সেটা বোঝানো না গেলে সরকার বা বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে কর্মসূচি গুলি গ্রহণ করা হয়, সেগুলি কোনো কাজেই লাগবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!