এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > মহিলাদের সম্পূর্ণ নগ্ন করে তল্লাশি বিমানবন্দরে! চূড়ান্ত অমানবিক কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় বিশ্বজুড়ে

মহিলাদের সম্পূর্ণ নগ্ন করে তল্লাশি বিমানবন্দরে! চূড়ান্ত অমানবিক কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় বিশ্বজুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মহিলাদের প্রাপ্য সম্মান না করার অনেক ঘটনাই সামনে আসে সমগ্র বিশ্বজুড়ে। তবে সেই সমস্ত ঘটনার মধ্য থেকে এমন কিছু ঘটনা থেকে যায় যা ক্ষমার অযোগ্য বলেই মনে হয়। সম্প্রতি কাতারে ঘটে যাওয়া এমনই একটি ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে দেশ এবং যার জেরে তারা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।

সম্প্রতি কাতারের দোহা বিমানবন্দরের আবর্জনার স্তূপে একটি সদ্যজাত শিশুকে উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়। প্লাস্টিকে মুড়ে কেউ সেই শিশুটিকে সেখানে ফেলে রেখে গিয়েছিল। যেহেতু কাতারে এ ধরনের অপরাধ সাধারনত ঘটে না, তাই কোনো বিদেশি মহিলাই এমন কাজ করেছেন বলে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে অস্ট্রেলিয়াগামী ১৮ জন মহিলাকে বিভিন্ন বিমান থেকে নামিয়ে বিমানবন্দরে পরীক্ষা করা হয় বলে জানা যায়।

সেই সঙ্গে শুধু পরীক্ষা নয়, নগ্ন করে তাদের তল্লাশি চালানো হয়। যেকথা জানাজানি হওয়ার পর চাপের মুখে কাতার প্রশাসন আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে বলেই জানা গেছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় কাতারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। জানা যায়, সদ্যোজাত সন্তানটির মাকে খুঁজে বার করতেই বিদেশী মহিলাদের বিমান থেকে জোর করে নামিয়ে নগ্ন করে তল্লাশি চালানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, এমনকি তাদের গোপনাঙ্গ পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গেছে। বস্তুত তারা সদ্য মা হয়েছেন কিনা সেই দেখতেই এমন কাজ করা হয়েছিল বলেই জানানো হয়েছে। এদিন বিমানবন্দরের টারম্যাকে একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয় এবং সেখানেই মহিলাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিডনি যাওয়ার ১০টি বিমানে থেকে ১৮ জন মহিলাকে এমন করা হয়। যার মধ্যে থেকে ১৩ জনই অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা বলে জানা যায়।

আর এরপরই অস্ট্রেলিয়ার সরকারের তরফ থেকে কড়া বার্তা আসে কাতারের কাছে। যার ফলে আজকের তারা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে। বস্তুত কাতারে বিবাহিত দম্পতি ছাড়া যৌন সংসর্গ করা বা অবিবাহিত কোন মহিলার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়াও আইনত অপরাধ বলেই মনে করা হয়। আর যে জন্য তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তবে এমন ঘটনায় তাই কোন মহিলা যুক্ত থাকলে সে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে বলেও অস্বীকার করা যায় না।

আর এরই মধ্যে কাতারে সন্দেহের বশে এমন ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া সরকার যে তাদের ছেড়ে দিতে রাজি নয় সে কথাও জানা গেছে। নিজেদের তরফে বিবৃতি দিয়ে এদিন কাতারের সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীকে ধরতেই তারা তল্লাশি চালানোর মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদি এই কারণে কোনো যাত্রীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বিকৃত হয়ে থাকে, তবে কাতার সরকার এই কাজের জন্য দুঃখিত এবং ভবিষ্যতে এখানে আসা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দিকে তারা নজর রাখবেন বলে জানিয়েছে।

বস্তুত ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর তার আগে এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে যে প্রভাব ফেলবে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। কারণ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাতারের বাণিজ্যিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে যে সদ্যোজাত কন্যাসন্তানটিকে আবর্জনার স্তুপ থেকে বিমানবন্দরে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই শিশুটি আপাতত হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং আপাতত সুস্থ রয়েছে বলেই তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!