এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হঠাৎ করেই দলের সব পদ ছাড়তে চান তৃনমূলের হেভিওয়েট শীর্ষনেতা! তীব্র জল্পনা ঘাসফুল শিবিরে

হঠাৎ করেই দলের সব পদ ছাড়তে চান তৃনমূলের হেভিওয়েট শীর্ষনেতা! তীব্র জল্পনা ঘাসফুল শিবিরে


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের সৈনিক তিনি। উত্তরবঙ্গে যখন কংগ্রেসের রমরমা, ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেসে এসে মালদহের সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তিনি মালদহ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দায়িত্বে রয়েছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে তার ওপরে। এহেন দুলাল সরকার এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান বলে জানিয়ে দিলেন।

পাশাপাশি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না বলেও জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের দুর্দিনের এই সৈনিক। যার ফলে এবার মালদহ জেলা রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। হঠাৎ কেন এমন বিবৃতি দিলেন দুলাল বাবু? জানা যায়, 1995 সাল থেকে মোট পাঁচবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। প্রত্যেকবারই ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন দুলাল সরকার। পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক সমস্ত দিক দেখভাল করতে হচ্ছিল তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই দুলাল সরকার এবার সমস্ত রকম রাজনৈতিক কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন। যার ফলে নানা মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তাহলে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই দুলালবাবু নিজেকে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে এখন সরিয়ে নিচ্ছেন, নাকি তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে দুলাল সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। দলের দুর্দিনে ছিলাম। আগামী দিনেও থাকব। তবে কোনো পদে না থাকার বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করছি।”

বাবলাবাবু আরও জানিয়ে দেন, “তৃণমূল আমাকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। যার ফলে অন্য কোনো দলে আমি যাব না। প্রয়োজনে সাধারণ কর্মী হিসেবে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্ম করব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুলালবাবু মুখে যাই বলুন না কেন, তার মতো অভিজ্ঞ নেতা যদি নিজেকে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন, তাহলে মালদহ জেলায় তৃণমূলের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খাবে। কেননা তার মত অভিজ্ঞ নেতা মালদহ জেলা রাজনীতিতে খুব কমই আছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

সেদিক থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত এবং অন্যদিকে যখন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই দুলাল সরকারের মত হেভিওয়েট নেতা যেভাবে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের শোনালেন, তাতে তৃণমূল অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে, ২০১৬ এর বিধানসভার পর লোকসভা নির্বাচনেও যেখানে এই জেলাতে তৃণমূলের কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। এখন দুলালবাবু নিজের কথা মতই কাজ করেন, নাকি তৃণমূল তার মান ভাঙাতে উদ্যোগী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!