এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা! রোগীর আত্মীয়দের চোখে দায়ী ডাক্তাররা নন, সব দায় মুখ্যমন্ত্রীর?

ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা! রোগীর আত্মীয়দের চোখে দায়ী ডাক্তাররা নন, সব দায় মুখ্যমন্ত্রীর?


এনআরএস কাণ্ডের জেরে উত্তাল গোটা রাজ্য। অবশ্য আর রাজ্য বলা ঠিক হবে না কেননা তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সর্বভারতীয় ডক্টরদের সংগঠন। আর তাই গতকাল গোটা দেশের ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।

এদিকে ডক্টরদের এহেন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা হলেন রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা এই অবস্থার জন্য একেবারেই আন্দোলনরত রাজ্যের ডাক্তারদের দোষী ভাবছেন না তাঁরা এই ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যাবস্থার জন্য দায়ী করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। দেখে নিন ভিডিওতে –

https://www.youtube.com/watch?v=odHXSlBMsHQ

 

প্রসঙ্গত, কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ঘটনা ঘটলেও মুখমন্ত্রী একবারও সেখানে যাননি।  আজ এসএসকেএম হাসপাতালে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত ডাক্তারদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন। তিনি এদিন বলেন যে, এরা জুনিয়র ডাক্তার নয়, এর আউটসাইডার। এদের আমি ধিক্কার জানাই। আউটসাইডার থেকে এসে এখানে হামলা করছে , হসপিটালে গন্ডগোল করছে। আমি পুলিশকে বলব যারা এখানে এসে গন্ডগোল করছে, ডিস্টার্ব করছে , তাদের বিরুদ্ধে স্ট্রং অ্যাকশন নেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হসপিটাল ,হোস্টেল টোটাল খালি করে দেবেন, ডাক্তার আর পেশেন্ট ছাড়া আর কেউ থাকবে না। আজ বিকেলের মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। যারা কাজ করবে না তারা হোস্টেলে থাকবে না। আর ইন্ট্রান্সরা যারা আছে তাদেরকে আমরা রিভিউ করে দেখবো। যারা কাজে যোগদান করবে তারা থাকবে যারা কাজে যোগদান করবে না রোগী পরিষেবা ব্যাহত হবে তাদের আমরা কোন রকম ভাবে গভর্মেন্ট সাহায্য করব না। আপনাদের যত নেতা আছে ধরে নিয়ে আসুন। হবেনা। পাবলিককে পরিষেবা দিতে হবে। রোগীকে পরিষেবা না দিলে ডাক্তার হওয়া যায় না। পুলিশ কখনো বলতে পারে না যে আমরা ডিউটি করব না অনেক পুলিশ মারা যায় তাদের ডিউটি করতে হয়। পুলিশ মারা যায় ডিউটি রত অবস্থায় কিন্তু তারা বলতে পারেন না আমরা স্ট্রাইক করব।

এসএসকেএম-এ বসে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “এনকোয়্যারি করব। কেন মারপিট করল? কেন লোকটা মারা গেল? আমি দুটো পক্ষ-ই এনকোয়ারি করব। একপক্ষ দাবি করছে, একটা ইঞ্জেকশন দিল আর লোকটা মারা গেল। সেই দাবিটাও তো দেখতে হবে। ওরাও তো মারামারি করেছে। দু-পক্ষের দাবিই তদন্ত করে আমি পাবলিকে তুলে ধরব।”

সাথে আরো বলেন যে, “৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।”

আর এর পরেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তারদের বিজেপি-সিপিআইএম গুন্ডা, বহিরাগত বলেও দাবি করেন। যার জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি তোলেন  মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সিপিআইএম বলে আমাদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রং দিয়ে অপমান করে আদতে আগুনে ঘি ঢাললেন। আজকেই হয়তো আমরা কাজে ফিরে যেতাম যদি উনি আমাদের নূন্যতম সুরক্ষার দাবিতে মেনে নিতেন। তা না করে হুমকি দিলেন। যে এইভাবে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অপমানজনক কথা বলেছেন যার জন্য তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এদিক মুখ্যমন্ত্রীর হুমকির প্রতিবাদে জুনিয়ার ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়ায় সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সরাও। তাঁরাও কর্মবিরতিতে সামিল হন।

এদিকে সাগর দত্ত কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন ডাক্তার ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন এর প্রতিবাদে। পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁর সাথে দেখা করে এসেছেন।ফলে উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যে। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ ব্যাবস্থা। আর এর পরেও ডাক্তারদের পাশেই রয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। তাই এদিকে রাজনৈতিকমহলের দাবি এর ফলে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাঁরা হলেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়ওরা তারাও যখন মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করছেন তখন এবার বোধ হয় মুখমন্ত্রীর একবার ফিরে দেখার সময় এসেছে যে তিনি কোথাও ভুল কিনা ?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!