বাংলায় দাঙ্গা লাগাতে চাইছে বিজেপি, জঙ্গিহানার দায়িত্ব নিয়ে ইস্তফা দেওয়া উচিত নরেন্দ্র মোদীর – বিস্ফোরক মমতা ব্যানার্জি কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 19, 2019 গত 14 ই ফেব্রুয়ারি পবিত্র ভালোবাসার দিনে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠনের হামলায় নিহত হন দেশের প্রায় 42 জন ভারতীয় সেনা। আর যে ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সরকারের পাশে দাড়িয়ে পাকিস্তানের প্রতি কঠোর বদলা নেওয়া হোক- এই আবেদন জানায় দেশের সাধারন মানুষ থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তবে বিরোধীদের তরফে সমবেতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকার কথা বলা হলেও এবার কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেই সোচ্চার হতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জঙ্গি হানার ঘটনায় সমস্ত দায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গত 8 ফেব্রুয়ারি ইন্টেলিজেন্স ইনপুট মিললেও কেন এই ব্যাপারে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র?সিআরপিএফ জাওয়ানদের রাস্তায় কেন আগে থেকে স্যানিটেশন করা হয়নি? এখন মোদিজী আর অমিত শাহ এমন বড় বড় কথা বলছেন যে মনে হচ্ছে ওরাই একমাত্র দেশপ্রেমিক, আর বাকি সবাই দেশদ্রোহী। কাশ্মীরের জঙ্গি হানার ঘটনায় দায়িত্ব মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে কাশ্মীরের নৃশংস জঙ্গি হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে কেউ কিছু মন্তব্য করলেই তার বাড়িতে গিয়ে সেই ব্যক্তিকে সেই সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এদিন সেই প্রসঙ্গেও সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। আর সাবলীল ভঙ্গিমায় মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের এই ঘটনাতেও অভিযোগের তীর ছিল সেই বিরোধী দল বিজেপি এবং আরএসএসের দিকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত 48 ঘন্টা ধরে আমরা দেখছি যে সবাইকে দেশবিরোধী বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। রাত বারোটা একটার সময় জাতীয় পতাকা নিয়ে বিজেপি, আরএসএস ও ভিএইচপির কিছু মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। বাইরে থেকে এসে বাংলায় দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে। কলকাতার অনেক জায়গাতেই তা হয়েছে। কিন্তু মাথায় রাখবেন বাংলা একটি শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানে শান্তি রয়েছে। এখানে রবি ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন করেছিলেন। তাই সেই পরম্পরাকে কেউ ধ্বংস করতে পারবেন না।” অন্যদিকে এত বড় ঘটনা ঘটলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ শুধুমাত্র ভাষণই দিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি বাংলায় অশান্তি রুখতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে কেউ কোনরূপ গুজব না ছাড়ায় সেইজন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছেও মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, দাঙ্গার মতো পরিস্থিতিকে যাতে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সমস্ত মানুষকেও আমি এই দিকে কড়া নজর রাখতে বলছি। সব মিলিয়ে প্রথমে কাশ্মীরের নৃশংস জঙ্গি হামলায় মুখ না খুললেও ফের এই ঘটনায় রাজনীতি টেনে এনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আপনার মতামত জানান -