এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শেষ পর্যায়ের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি বিজেপির

শেষ পর্যায়ের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি বিজেপির

লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই শাসক-বিরোধী নেতাদের একে অপরকে উদ্দেশ্য করে তীব্র বাক্যবিনিময়ে উত্তপ্ত হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিকে। রাজ্যে এসে যখন নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ – তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন, ঠিক তখনই পাল্টা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন উপলক্ষে যখন গতকাল একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রচার করছেন এবং অন্যদিকে বাংলায় বাড়তি নজর দিয়ে রোড শো করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, ঠিক তখনই বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বঙ্গ রাজনীতি।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর রোড শো শেষ হওয়ার পরেই অমিত শাহের কনভয়ের দিকে ইট, লাঠি এবং তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ কালো পতাকা দেখায়। আর এরপরই পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও জবাব দেওয়া হয়। আর এতেই রীতিমতো সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে সেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে। যেখানে আগুন পর্যন্ত জ্বলতে দেখা যায়। এদিকে এই ঘটনায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাংচুরের পেছনে বিজেপিই জড়িত বলে সরব হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাল্টা বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বিদ্যাসাগরের মূর্তি কলেজের ভেতরে ছিল। তৃণমূল নিজেরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বিজেপি দিকে অভিযোগ তুলছে। আর এই ঘটনার পরই নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্মলা সীতারমন, মুক্তার আব্বাস নাকভি, অনিল বালুনি, জিভিএল নরসিমা রাও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে তারা ঠিক কি আর্জি জানালেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেন, “দলের তরফে কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে যে বা যারা এই সংঘর্ষের সাথে জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তার সমর্থকদের উস্কানি দিতে না পারেন, তার জন্য শেষ দফার নির্বাচনের আগে তার প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গার পরেই গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার কথা শোনা গেছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়। যা দেখে হতবাক হয়েছি বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকে। আর সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী সেই বদলার বক্তব্য দেওয়ায় রাজ্যে যাতে কোনরূপ অশান্তি না হয় তার জন্য দিন আগে ভাগেই নির্বাচন কমিশনের কাছে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আর্জি জানালেন বিজেপির প্রতিনিধি দল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!