এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার গুরুত্বপূর্ণ সৈনিককে গুরুদায়িত্ব দিয়ে চমকে দিলেন রাজ্যপাল, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

মমতার গুরুত্বপূর্ণ সৈনিককে গুরুদায়িত্ব দিয়ে চমকে দিলেন রাজ্যপাল, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


হাওড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম আস্থাভাজন সৈনিক, হাওড়া পুরসভায় তৃণমূল বোর্ডের প্রাক্তন মেয়র তথা হোমিওপ্যাথি চিকিত্‍সক রথীন চক্রবর্তীকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যে তাঁর সাম্মানিক চিকিত্‍সা পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছেন। হ্যাঁ এমন চমকে দেওয়ার মতো ঘটনায় ঘটেছে। যদিও আজ নয় এ ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগেই। দলের কয়েকজন জানতেন যে রথীন চক্রবর্তী মাঝে মাঝেই রাজভবনে যাচ্ছেন কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যে তাঁর সাম্মানিক চিকিত্‍সা পরামর্শদাতা হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করেছেন সেই বিষয়টিই গোপনই ছিল। আর যার জেরে চমকে গেছে রাজ্য রাজনীতি।

জানা যাচ্ছে, গত ২৭ এপ্রিল রথীনবাবুকে সরকারি ভাবে তাঁর মেডিকেল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। কেননা রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক কোনো অংশেই ভালো নয়, রোজ চলছে রাজনৈতিক তরজা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাজ্যপালকে নিয়ে একের পর এক পোস্ট চলছে। চলছে তৃণমূলের তরফ থেকে তীব্র আক্রমণ। ওদিকে রাজ্যপালও কম জান না, পাল্টা একের পর এক তোপ দেগে চলছেন তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে। আর এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সৈনিককেই এবার নিজের চিকিৎসা পরামর্শদাতা করে চমকে দিলেন।

প্রসঙ্গত, হোমিওপ্যাথি চিকিত্‍সক ভোলানাথ চক্রবর্তীর ছেলে হলেন রথীন চক্রবর্তী। গতবার হাওড়া পুরসভা ভোটে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান , দলের অনেকের বিপক্ষে গিয়ে তাঁকে গুরুদায়িত্ব দেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে মেয়র করেন তিনি। এদিকে পুরসভার মেয়াদ ফুরনোর পর সেখানে প্রশাসক হিসাবে তাঁকেই নিয়োগও করেছেন মুখমন্ত্রী। আর যাঁর প্রতি মুখ্যমন্ত্রী এত সদয়, তখন তাঁকেই প্রতি পদে আক্রমন করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর তাঁর সাম্মানিক চিকিত্‍সা পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করাকে অনেকেই বাঁকা চোখে দেখছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি রথীনবাবু বুঝতে পেরেছেন, যে হাওয়া বেগতিক আর সেই কারণেই এই কাজ করেছেন তিনি? অনেকে অবশ্য বলছেন তিনি আগে চিকিৎসক পরে নেতা। ফলে তিনি একজন চিকিৎসক হিসাবে রাজ্যপালের সাম্মানিক মেডিকেল কনসালট্যান্ট হতেই পারেন। কিন্তু, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সবকিছুই আবর্তিত হয় রাজনীতির রঙে! ফলে যে রাজ্যপালকে দুবেলা আক্রমন করছেন তৃণমূল নেতারা, তাঁরই পারিষদ হচ্ছেন এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা – এত সহজ অঙ্ক মেনে নিতে পারছেন না কোনো রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই।

তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি এবার রথীনবাবু দল ছাড়ছেন? বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? কেননা তৃণমূলের দাবি রাজ্যপাল – রাজ্যপালের মতো নয়, বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তিনি আদতে নাকি বিজেপির প্রতিনিধি। আর যদি তাই হয় তবে এহেন বিজেপির প্রতিনিধির সঙ্গে এমন ভাব – দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস বা স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত সহজে মেনে নেবেন? আর তাই শাসকদলের অন্দরেই জল্পনা চরমে – তবে কি দল ছাড়তে চলেছেন তিনি?

তবে এই নিয়ে কয়েকজনের দাবি, রথীনবাবু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। রাজ্যপালের সাম্মানিক চিকিত্‍সা পরামর্শদাতা হয়েছেন মানে দল ছেড়েছেন এমন নয়। যদিও রাজনীতিতে সব সম্ভব, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এমন উদাহরণ সহজেই পাওয়া যাবে। ফলে এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তৃণমূলের এক বৃহৎ অংশ। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপির রাজ্য নেতারা থেকে শুরু করে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা দাবি করে এসেছেন, তৃণমূলে একটা বড় ভাঙন যে কোন দিন ধরবে! ফলে জল্পনা চলছেই – তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনো প্ৰতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!