এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আদিবাসী মন ফিরে পেতে বড়সড় ধামাকা দিতে চলেছে তৃণমূল! ‘অফার’ শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে!

আদিবাসী মন ফিরে পেতে বড়সড় ধামাকা দিতে চলেছে তৃণমূল! ‘অফার’ শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মন পেতে এবার জনমুখী উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। 12 হাত শাড়ি মাত্র 106 টাকায় দেওয়া হচ্ছে। অনেকে ভাবতে পারেন, করোনার সময় এটা কি সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছে তৃণমূল সরকার? না! জানা গেছে, ভর্তুকির মাধ্যমে এবার আদিবাসী এবং দুঃস্থ মানুষদের সুলভমূল্যে শাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রতিটি শাড়িতে সরকার 99 টাকা করে ভর্তুকি দেবে। করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কাছে নানা পরিষেবা পৌঁছে দিতে শুরু করেছে।

কিন্তু এবার সেই তালিকায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তন্তুজ শাড়ি মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এই ব্যাপারে একটি সেল কাউন্টার খোলা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলে এরকম কাউন্টার খোলা হবে বলে খবর। জানা গেছে, মঙ্গলবার হুল দিবসের দিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কম দামে এই তন্তুজ শাড়ি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

মূলত, পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম, মেমারি টু ব্লকের সাতগেছিয়া এবং পূর্বস্থলীর দামোদর পাড়ায় প্রথমে তিনটি কাউন্টার হওয়ার কথা রয়েছে। কেননা এখানে সব থেকে বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। বস্তুত, গত লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। সেদিক থেকে আদিবাসীদের ভোট তৃণমূল যে খুব একটা পায়নি, তা রাজনৈতিক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। তাই এবারে দুর্দিনের সময় সেই সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মন পেতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে 12 হাতের তন্তুজ শাড়ি 106 টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিজেদের জনমোহিনী ভাবমূর্তি সেই সমস্ত আদিবাসী মানুষদের কাছে তুলে ধরতে চাইছে বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে তন্তুজ চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “তন্তুজ চিপার শাড়ি তৈরি করলেও, আমরা প্রথম আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কাউন্টার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূর্ব বর্ধমান থেকে তা শুরু হবে। তারপর জঙ্গলমহলে করব। হুল দিবসের দিন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রেতাদের রেশন কার্ড দেখিয়ে তা কিনতে হবে। একটি রেশন কার্ডে একটি শাড়ি দেওয়া হবে।”

স্বপনবাবু এদিন আরও বলেন, “তা না হলে অনেকে একাধিক শাড়ি কিনে নিতে পারেন। বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে তার কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। ভর্তুকি দিয়ে তৈরি করছি। তাই আমরা চাই, আদিবাসী ও প্রকৃত দুস্থ মানুষরা শাড়ি কেনার সুযোগ পাক। কাউন্টার খোলার জন্য এই ধরনের শাড়ির বরাত দেওয়া হবে। যার ফলে তাঁত শিল্পীরাও উপকৃত হবেন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসকদলের কাছে আগামী বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত চাপের।

বিজেপির প্রভাব দিনকে দিন বাড়ছে। লোকসভা ভোটেই প্রমাণিত, যে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলের গড় হয়ে উঠেছিল, তার অনেকটাই এখন বিজেপি-মুখী। এছাড়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিজেপি প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করায় চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক আরও শক্তিশালী করতে তন্তুজ শাড়ি কম দামে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। এখন এর ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে তৃণমূল কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!