এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বেলুনের গ্যাস শেষ! পুলিশ সরলেই শেষ তৃনমূল? এ কোন রেওয়াজ!

মমতার বেলুনের গ্যাস শেষ! পুলিশ সরলেই শেষ তৃনমূল? এ কোন রেওয়াজ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের নাকি রাজ্যজুড়ে এত শক্তি! তাদের উন্নয়ন দেখেই নাকি মানুষ তাদের সমর্থন করেন! কিন্তু যে কয়েকটি স্থানীয় ভোট পশ্চিমবঙ্গে এই কয়েক বছরে হয়েছে, সেখানে সব ক্ষেত্রেই পুলিশকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। যে সরকার এত ক্ষমতা নিয়ে, এত সংখ্যা নিয়ে ক্ষমতা এসেছে, তাদের পুলিশকে ব্যবহার করে রাজনীতি করার কি দরকার? তাহলে রাজনৈতিক দল আর প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়! এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশকে ব্যবহার করার মত অভিযোগ প্রতি সময় উঠতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গ্রুপ ডির চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে উপস্থিত হয়ে আবারও প্রশাসন নির্ভর তৃণমূলকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে আবারও এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে যে, তাহলে কি পুলিশ ছাড়া সামান্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করার মতও ক্ষমতা নেই তৃণমূল কংগ্রেসের?

প্রসঙ্গত, এদিন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,”যেখানে ভোট লুট হচ্ছে, সেখানেই পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সব কাজ পুলিশকে দিয়ে করছে এই তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশ ছাড়া তারা একদম শেষ। কিচ্ছু করতে পারবে না।” একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। কিন্তু এত ক্ষমতা নিয়ে আসা একটি দল তারা কেন পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়বে? কেন একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সত্বা থাকবে না? কারণ আজ না হোক কাল, ক্ষমতা তো চিরকাল তৃণমূলের দখলে থাকবে না। তখন তো পুলিশ তাদের দিকেকেও থাকবে না। তখন তারা কি করবে? তাহলে কি তখন তৃণমূল দল উঠে যাবে!

বিরোধীদের দাবি, যতক্ষণ পুলিশ, ততক্ষণ তৃণমূল। আইনের রক্ষক তৃণমূল সরকারের আমলে আইনের ভক্ষক হয়ে গিয়েছেন। পুলিশ আজকে চোর ধরতে ভুলে গিয়েছে। বরঞ্চ যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামছেন, তাদেরকেই জেলে পোড়ানোর চেষ্টা করছে এই প্রশাসন। পুলিশের মেরুদন্ড সম্পন্নরূপে ভেঙে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একটা সময় আসবে, যখন এই সরকারের পরিবর্তন হবে। তাদের পাশে পুলিশ থাকবে না। আর তখন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এই দল বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন হচ্ছে এবং সরকার বিরোধী আন্দোলন সংঘঠিত হচ্ছে, সবখানেই পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের মুখ বন্ধ করতেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে কম হেনস্থা করছে না এই সরকার। অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল যে নিজেদের অস্তিত্ব ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে, তা স্পষ্ট। তবে বিগত বাম সরকারের আমলে এই পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধেই তো আন্দোলন করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি ক্ষমতায় এসে তিনি সেই বামেদের পথেই হাঁটতে শুরু করলেন?পুলিশকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক নেতাদের কণ্ঠরোধ করতে তার এই অপচেষ্টা কেন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে সেই পুলিশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গ্যাস বেলুনের হাওয়া যে বেরিয়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!