এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম বিপদে মলয় ঘটক, জাস্টিস গাঙ্গুলীর হাতেই জব্দ মমতা! ডেডলাইন বিচারপতির!

চরম বিপদে মলয় ঘটক, জাস্টিস গাঙ্গুলীর হাতেই জব্দ মমতা! ডেডলাইন বিচারপতির!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচার ব্যবস্থায় নয়া পথ দেখিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার একের পর এক নির্দেশ চাকরি প্রার্থীদের মনে তৈরি করেছে আশার আলো। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে টাইট দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতিকে শেষ করতে তিনি সব চেষ্টা করে যাবেন। তার কলম কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। আর এবার সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এমন এক নির্দেশ দিলেন, যাতে রীতিমতো টলোমলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে টালবাহানা চলছে, তাতে রীতিমতো ক্ষিপ্ত বিচারপতি।যার কারণে রীতিমতো সময় বেঁধে দিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে এজলাসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর যদি আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের এজলাসে উপস্থিত না থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেও যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন জাস্টিস গাঙ্গুলী।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতিদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। শুধু তাই নয়, বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও ইতিমধ্যেই আদালতের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তার বদলির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই বিষয়টি জানতে পেরেই রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে এজলাসে উপস্থিত থাকতে হবে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। তা না হলে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে কৌতুহল। সকলের একটাই প্রশ্ন, যে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি, সেই সময়ের মধ্যে কি এজলাসে উপস্থিত হবেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী? নাকি এই বিষয় নিয়েও আবার নতুন করে জটিলতা দেখা দেবে? বিচারপতি কি পদক্ষেপ নেবেন, সেটাও কৌতূহলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। তবে অনেকেই বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিচারপতির সিনহার নির্দেশ রীতিমতো সরকারকে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে। এক পক্ষ হয়তো চাইছে না, এই তদন্ত হোক। কারণ তদন্ত যদি ঠিকমতো হয়, তাহলে অনেক রাঘববোয়ালের বিড়ম্বনা তৈরি হবে। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রীকে সময় বেঁধে নিয়ে উপস্থিত হওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হল, তা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আইন মন্ত্রী উপস্থিত হবেন কি হবেন না, সেটা অবশ্যই নজর রাখার মত বিষয়। তবে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, বিচারপতির এদিনের এই নির্দেশ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কড়া পদক্ষেপের পর একটা বিষয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে কাবু করার দিক থেকে বিচারব্যবস্থাই যথেষ্ট। হয়তো সরকার নিজের পুলিশকে অপব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে পারে। কিন্তু আইনের জালে তাদেরকে ফাসতেই হবে। তাই বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের বদলি নিয়ে যে টালবাহানা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে, তা বুঝতে পেরেছেন জাস্টিস গাঙ্গুলী। তাই যে অসুখের যে ওষুধ হয়, তা প্রয়োগ করেছেন তিনি। আইনমন্ত্রীকে এজলাসে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার যে নির্দেশ এদিন বিচারপতি দিয়েছেন, তার ফলে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!