এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার দ্বিচারিতা ধরে ফেললো সিভিকরাও, পুজোর মুখে নবান্নের এ কোন সিদ্ধান্ত ?সোচ্চার শুভেন্দু!

মমতার দ্বিচারিতা ধরে ফেললো সিভিকরাও, পুজোর মুখে নবান্নের এ কোন সিদ্ধান্ত ?সোচ্চার শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সিভিক পুলিশ নামে একটি কর্মসূচি স্থাপন করে সেখানে প্রচুর ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন তিনি। কাউকে 10 হাজার টাকা, কাউকে 12 হাজার টাকা করে দিয়ে থানা গুলিতে সেই সিভিক পুলিশদের দিয়ে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অন্তত বিরোধীরা তেমনটাই অভিযোগ করেন। কিন্তু যে সিভিক পুলিশদের নিজে হাতে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এবার তাদের সঙ্গেই চরম বঞ্চনা করছেন তিনি। আর এই বঞ্চনার অভিযোগ আমরা তুলছি না। পূজোর মুখে একেবারে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পর্দাফাঁস করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে ভয়ংকর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এখন কাটার মত বিঁধছে, অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে এদিন একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তিনি তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে একটি বড় ক্যাপশন লেখেন। শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “পুজোয় কলকাতা পুলিশের সিভিক বোনাস পাবে 5 হাজার 300 টাকা করে। আর বাকি রাজ্যে কর্মরত সিভিক পাবে 2 হাজার টাকা করে। এটা কেমন বিচার? দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রিক প্রশাসন এতটা একচোখা, এত পক্ষপাত দুষ্ট? কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার 5 হাজার 300 টাকা করে বোনাস পেতেই পারেন। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যের সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়াররাই যেন সমান অঙ্কের বোনাস পান, কোনো বৈষম্য চলবে না।”

একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এদিন রীতিমতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের যে নির্লজ্জ রূপ, প্রতিমুহূর্তে মানুষের সঙ্গে যে বৈষম্য করে চলেছে এই রাজ্যের সরকার, তা ফাঁস করে দিয়েছেন। শুভেন্দুবাবু খুব ভালো মতো জানতেন, তিনি সিভিকদের এই বোনাস নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলবেন, তখন শাসক পক্ষের নেতারা বলবেন যে, সিভিকরা একটু বেশি বোনাস পাচ্ছে, তাতে কি শুভেন্দুবাবুর গা জ্বলে যাচ্ছে? তিনি কেন সিভিকদের উন্নতি সহ্য করতে পারছেন না! তাই শুভেন্দু অধিকারী সেটা আগেভাগেই আঁচ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটাও লিখে দিয়েছেন যে, কলকাতা কেন্দ্রিক সিভিকদের এক বেতন দিয়ে গোটা রাজ্যের সিভিকদের বোনাসের বেতন কমিয়ে দেওয়া এটা এক কথায় দ্বিচারিতা।

বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারী যদি এই তথ্য সামনে না আনতেন, তাহলে কোনো সিভিকরাই জানতে পারতেন না যে, কে কত বোনাস পাচ্ছেন! গোটা রাজ্যের সিভিকরা হয়ত ভেবে থাকতেন যে, সব জায়গায় একই বোনাস দেওয়া হচ্ছে। কারণ কেউ সরকারের কাছ থেকে এই দ্বিচারিতা আশাই করতে পারে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতা এবং কলকাতা কেন্দ্রিক রাজনীতি করতেই ভালোবাসেন। যা উন্নতি হবে দক্ষিণ কলকাতার, যা ভালো হবে কলকাতার মানুষের। গোটা রাজ্যের মানুষকে নিয়ে তিনি যে মোটেই চিন্তিত নন, তা সিভিকদের এই পুজো বোনাসের বৈষম্যের মধ্যে দিয়ে আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা থাকে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই পোস্টের পর তারা তৎপর হবে। অন্তত গোটা রাজ্যের সিভিকদের বোনাস একই হারে দেবে এই রাজ্য সরকার বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মাসে মাসে কয়েক হাজার টাকা দিয়ে সিভিকদের খুশি রেখে কিছু যুবক যুবতীদের কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এই রাজ্য সরকার। তবুও তারা কিছু করে টাকা পেতেন। তাতে আর যাই হোক, একটা সংসার চালানোর মত তাদের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও হত। এটা নিয়ে সকলেই খুশি ছিলেন। রাজ্যকে তো ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে এই সরকার শেষ করে দিয়েছে। তবে এবার সেই সিভিকরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালাকি ধরে ফেললেন। শুভেন্দু অধিকারী যে তথ্য তাদের সামনে আনলেন, তারপরেও যদি রাজ্যের মানুষ জেগে না ওঠে, তাহলে তাদের ঘুম আর কোনো মতেই ভাঙানো যাবে না। যে সিভিকদের এত লালন পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাদের প্রতিও যে দ্বিচারিতা তিনি করলেন, তার পর্দা যেভাবে ফাঁস হয়ে গেল, তাতে সকলকেই এই সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। জবাব দিতে হবে ভোট বাক্সে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!