এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে তুমুল উত্তেজনা! পুরসভার রেজিস্টার ছিঁড়লেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

মমতার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে তুমুল উত্তেজনা! পুরসভার রেজিস্টার ছিঁড়লেন হেভিওয়েট মন্ত্রী


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন জেতার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে কাছে টানতে সদ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এবং সেই অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে যাতে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যায়, সে কথাও তিনি জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যেরবিভিন্ন জায়গায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প হচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেও ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি কিন্তু হোঁচট খেলো শুরুতেই। জায়গায় জায়গায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ কলহ। এবার কলকাতাতেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে দেখা গেল তুমুল উত্তেজনা।

খোদ তৃণমূলের মন্ত্রী কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে পুরসভার রেজিস্টার পর্যন্ত ছিঁড়ে দিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা। উত্তর কলকাতার মুচিবাজার অঞ্চলে 14 নম্বর ওয়ার্ডের মাদার টেরিজা কমিউনিটি হলে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শিবির চলছিল এদিন। সে সময় সেখানে উপস্থিত হন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। তিনি আসার পরেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। জানা যাচ্ছে, দলের একাংশের কাজে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী নিজেই পুরসভার রেজিস্টার ছিঁড়ে দিয়েছেন। আর এই ঘটনার পিছনে যে তৃণমূলের দুই শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মূল ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সে কথা স্পষ্ট জানাচ্ছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

মূলত মন্ত্রী সাধন পান্ডের ঝামেলা এলাকার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর অমল চক্রবর্তীর সঙ্গে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অমল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে সময় মন্ত্রী সাধন পান্ডে ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন, সে সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। মন্ত্রীর অনুগামীরাই ঝামেলা করেছে বলে দাবি করেন অমল চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে, মন্ত্রী সাধন পান্ডে যখন দুপুরে ওই এলাকায় পৌঁছান, তখন দেখেন কমিউনিটি হলের বাইরে তৃণমূলের ক্যাম্প চলছে। সরকারি অনুষ্ঠানে কেন তৃণমূলের দলীয় ক্যাম্প হবে তাই নিয়েই হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। শেষ অবধি সাধন পান্ডে নিজেই কর্মসূচি ছেড়ে বেরোনোর সময় টেবিলে থাকা রেজিস্টার ছিঁড়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর অনুগামীরা টেবিল উল্টে দেন। প্রাথমিকভাবে ব্যাপক ঝামেলা হলেও পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে অমল চক্রবর্তী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানান, এত মানুষের ভিড় রয়েছে যেখানে, সেখানে একজন মন্ত্রী হয়ে সাধন পান্ডে এধরনের কাজ কিভাবে করলেন? ব্যক্তিগতভাবে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ্যে এনে মানুষের সমস্যা তৈরি করা মোটেই উচিত নয় বলে জানান অমল চক্রবর্তী। অন্যদিকে সাধন পান্ডে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনে জানিয়েছেন, সরকারি অনুষ্ঠানে বাইরে টেবিল পেতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে ক্যাম্প কেন হবে? যদি একটি রাজনৈতিক দল ক্যাম্প করে, তাহলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকেরাও জড়ো হবে। এরই প্রতিবাদ করতে তিনি শুধুমাত্র টেবিলটি তুলে দিতে বলেছিলেন।

সাধন পান্ডে জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনা কলকাতার পুর কমিশনার বিনোদ কুমারকে ফোন করে জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে মন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে স্থানীয় বোরো কো অর্ডিনেটর অনিন্দ্য রাউত জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই রেজিস্ট্রেশন হচ্ছিল। সারাবছর স্হানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যারা কাজ করেন, তাঁরাই ওখানে ছিল। মন্ত্রী সাধন পান্ডে হয়তো ভুল বুঝেছেন বা কেউ তাঁকে ভুল বুঝিয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছেন অনিন্দ্য রাউত। তবে ভুল বোঝাবুঝি থাকুক চাই না থাকুক, কলকাতা শহরের বুকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা তৃণমূল শিবিরের পক্ষে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হওয়া মাত্রই একের পর এক যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে আসছে, তা কিন্তু তৃণমূল শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু করে প্রত্যেককে একসাথে কাজ করার কথা বলেছেন, সেখানে কিভাবে একজন মন্ত্রী কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে পুরসভার রেজিস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার মতন গর্হিত কাজ করলেন? যদিও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা সম্পর্কে কোন রকম প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে যেভাবে গন্ডগোল ক্রমশ বাড়ছে, তাতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!