এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার কপালে আবার দুর্ভোগ? শুভেন্দুর গড়ে গেলেই গোহারা হারবেন! বড় তথ্য ফাঁস হেভিওয়েটের!

মমতার কপালে আবার দুর্ভোগ? শুভেন্দুর গড়ে গেলেই গোহারা হারবেন! বড় তথ্য ফাঁস হেভিওয়েটের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন স্বপ্ন দেখছেন, তিনি নাকি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিজেপিকে সরিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করে তার নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাতে তিনি কত আসন পাবেন, সেটাই একটা লাখ টাকার প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখোমুখি হওয়ার মত ক্ষমতা কি আগামী লোকসভা নির্বাচনে রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর? আদৌ কি তিনি পারবেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে? বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তো এই শুভেন্দু বাবুর কাছে তাকে হারতে হয়েছে। তিনি তো বলেন, তার মুখ দেখেই নাকি মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেয়! তাহলে তো তিনি রাজ্যের যে কোনো জায়গায় দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভয় রয়েছে। তাই এবার তিনি মেদিনীপুরের কোনো লোকসভা আসনে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তাকে আবার একবার হারের মুখ দেখতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তবে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত ক্ষমতা তৃণমূল নেত্রীর নেই বলেই দাবি করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজয়া সম্মেলনের একটি সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জির যদি এতই ক্ষমতা থাকে তাহলে কাথি এবং তমলুকে দাঁড়ান হারিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। আপনি শুধু দাঁড়িয়ে দেখান। তমলুকে দেড় লক্ষ্য, আর কাঁথিতে তিন লক্ষ ভোটে জিতবে বিজেপি।” আর এখানেই প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শুভেন্দু অধিকারীর এই চ্যালেঞ্জে পা দেবেন? অনেকে বলছেন, সেই ক্ষমতা নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কারন তিনি খুব ভালো মতো জানেন, একবার তাকে নন্দীগ্রামে দাড়ানোর কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এমনিতেই বিজেপির পক্ষে মানুষের সমর্থন থাকবে। তার মধ্যে যদি সেই শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যান, তাহলে হেরে ঘরে ঢুকে যাওয়া ছাড়া তার কাছে আর কোনো গতি থাকবে না। তাই নিজের মুখ রক্ষা করতে শুভেন্দুবাবুর এই চ্যালেঞ্জে কোনোমতেই পা দেবেন না শুধুই বড় বড় ডায়লগ দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর নাকি রাজনৈতিক ক্যারিশমা নেই, এরকম অনেক কথা তৃণমূল বলেছিল। কিন্তু যদি এতই ক্ষমতা থাকে, তাহলে তাদের সবথেকে বড় নেত্রী সেই শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জে একসেপ্ট করে লড়াই করুন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে, কার কত ক্ষমতা। কিন্তু সেটা করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি জানেন, মানুষ জাগতে শুরু করেছে। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই মানুষের সমর্থন রয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে তৃণমূল এক অঙ্কের আসন পেরোতে পারবে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত বড়ই নেত্রী হন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখবেন না। কারণ যদি তিনি লড়াই করতে যান, তাহলে তার মুখ পুড়বে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগ দিচ্ছেন, তাতে তৃণমূল মুখে যাই বলুক, তারা বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে যথেষ্ট ভয়ে রয়েছেন। শুভেন্দুবাবু আর যাই হোক, সেটিং করা বিরোধী দলনেতা নন। চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন তিনি। একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কাছে হেরে গিয়ে প্রতি সময় আফসোসে ভুগছেন। কি করে শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে বদলা নেওয়া যায়, তার চেষ্টা করছেন। তাকে কেস দিয়ে, পুলিশি হেনস্থা করিয়ে জেলে পোড়ানোর কম চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার করছে না। কিন্তু কোনোভাবেই শুভেন্দুবাবুকে জব্দ করা যাচ্ছে না, এটা বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাই পাল্টা এবার শুভেন্দু অধিকারী আগামী লোকসভা নির্বাচনে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেদিনীপুরের যে কোনো একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। যদি সত্যিই তিনি দাপুটে নেত্রী হন, তাহলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর যদি তিনি ভয়ে থাকেন, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তো অনেক দূরের কথা, এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্যই করবেন না আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী লড়াই করুন বা না করুন, শুভেন্দুবাবুর কাছে তার পরাজয় লেখাই রয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!