মমতার ফোনেও গোপন তথ্য? সাত সকালে ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস! সোচ্চার দিলীপ! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 14, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা লগ্নে জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি কথায় কথায় মিথ্যা ছাড়া আর কিছু বলেন না বলেই দাবি করে বিরোধীরা। তারা এটাও বলছে যে, একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি যখন হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী সাধু পুরুষ হয়ে বসে থাকবেন, এটা কি করে সম্ভব? তাই আসল মাথাকে কবে ধরা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সকলের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনেকে বলছেন, এই ফোন থেকেই বড়সড় তথ্য উদ্ধার হতে পারে। তবে যদি মন্ত্রীদের ফোন থেকেই বড় বড় তথ্য উদ্ধার হয়, তাহলে তো মুখ্যমন্ত্রীর ফোন হাতে নিলে রাজ্যবাসী চমকে যেতে পারেন। এদিন সেই ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যে তথ্য দিলেন, তা সত্যিই চমকে যাওয়ার মত। তার বক্তব্যের পর আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে তৃণমূলের মধ্যে। প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেন। এদিন এই বিজেপি নেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ফোন সার্চ করলেও অনেক তথ্য বেরোবে।” অনেকে বলছেন, তৃণমূল দল এবং সরকারের শেষ কথা যিনি, তিনি কিছু জানেন না, এটা ভাবাটাই বৃথা। তার কাছে সব তথ্য রয়েছে। তাই তিনি সব জেনেও এখন নাটক করে যাচ্ছেন। নিজেকে সততার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাকে আবার একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামতে হবে। তার দলকে সাফল্য পাওয়াতে হবে। কিন্তু এসব এবার আর হবে না। রাজ্যের মানুষ এই সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রীর বুজরুকি এবং ভাঁওতাবাজির চেহারা ধরে ফেলেছে। ফলে মূল মাথার গ্রেপ্তারির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বলেই মনে করছেন সমালোচকরা। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এত বড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইছেন না, সেটাই তো বড় প্রশ্ন। আসলে এই সরকারের লজ্জা বলতে কিছু নেই। তারা মানুষকে শোষণ করে ক্ষমতা আস্বাদন করতে ব্যস্ত। মন্ত্রীদের ফোন নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে কি তথ্য বের হয়, তা অবশ্যই দেখার মত। তবে আসল মাথার ফোন এবার বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সেখান থেকে যে পরিমাণ তথ্য বেরোবে, তা সব তদন্ত এবং সমস্যার সমাধান করবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা ছাড়া তৃণমূল দল এবং সরকারি একটি গাছের পাতাও পড়ে না। সেখানে বেকারদের বঞ্চিত করে কিছু মানুষকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে, এটা মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না, সেটা কিভাবে সম্ভব? আর জানার পরেও কেন তিনি গোটা ঘটনার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন না? আসলে তিনি নাটক করছেন। তাই দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বিজেপিকে কটাক্ষ করতে আরও বেশি বেশি করে ময়দানে নামছেন। নিজেদের কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এইসব কীর্তি। কিন্তু এবার সময় চলে এসেছে, আসল মাথার ধরা পড়বেই। তাই সেই মাথার কাছে গেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি তার ফোনটা একবার ছিনিয়ে নিতে পারে, তাহলেই বোঝা যাবে, এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি রাজ্যকে বিপাকে ফেলার মূল ষড়যন্ত্রী কে! দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -