এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মান ভাঙিয়ে শুভেন্দুকে কাছে টানা শুরু তৃণমূলে? অভিষেককে সরিয়ে মধ্যমণি নন্দীগ্রামের নায়ক?

মান ভাঙিয়ে শুভেন্দুকে কাছে টানা শুরু তৃণমূলে? অভিষেককে সরিয়ে মধ্যমণি নন্দীগ্রামের নায়ক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের শহীদ মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্বের। যত দিন যাচ্ছে, সেই দূরত্ব আরো স্পষ্ট হচ্ছে রাজ্যে। সম্প্রতি রাজ্য রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী এবার হয়তো দলত্যাগ করতে চলেছেন। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন করে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে কলকাতার দু নম্বর ওয়ার্ডের শারদ শুভেচ্ছার পোস্টার ঘিরে। পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে যেমন রাখা হয়েছে, তেমনই বাদ দেওয়া হয়েছে রাজ্য যুব তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীকে হয়তো কাছে টানার জন্যই এই প্রচেষ্টা। কলকাতায় তৃণমূলের শারদ শুভেচ্ছার ব্যানারে অবশ্য দাদার অনুগামীদের কোন নাম নেই। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের নাম রয়েছে, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তবে যে ব্যাপারটি নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা চলছে, সেটি হচ্ছে কলকাতার দু নম্বর ওয়ার্ডের শারদ শুভেচ্ছার একটি ব্যানার। এই ব্যানারে প্রচারক হিসেবে রয়েছে তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি সৃজন ঘোষের নাম। অন্য আরেকটিতে রয়েছেবাপ্টু ঘোষ, লাবণী দত্ত, ইমন বোস, সুকল্যাণ ঘোষ, রাহুল ঘোষ, তপন দাশ, রাজু ঘোষ, রূপশ্রী বর্ধনদের মতো তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের নাম রয়েছে প্রচারকদের তালিকায়।

তবে দুটি ব্যানারেই দেখা যাচ্ছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, সাধন পাণ্ডে, সুজিত বোস, শান্তনু সেন, মালা সাহা, জীবন সাহার ছবি। এমনকি ওয়ার্ড সভাপতি সৃজন বোসের ছবিও রয়েছে ব্যানারে। শুধু নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি। যা নিয়ে এইমুহুর্তে চলছে তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই দাবি করছেন, কলকাতার তৃণমূল শিবিরের বহু নেতা, কাউন্সিলর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। যদিও তাঁর ছবি দিয়ে ব্যানার, পোস্টার, হোডিং কেউ করেননি। এই অবস্থায় দু নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব কিন্তু যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অবশ্যই ওয়ার্ডের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী সভানেত্রী রূপশ্রী বর্ধন জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডের নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি রাখা হয়েছে কারণ সবাই তাঁকে ভালবাসেন। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর সহ যেসব জেলায় এতদিন পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ছবি ছিল না সেখানেও এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ব্যানার, পোস্টার লাগানো হচ্ছে। আর সে জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তৃণমূল এই কাজের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে। পাল্টা বিজেপিও তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বকেই নিশানা করেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে কিন্তু বারবার বলা হচ্ছে, পোস্টার-ব্যানারে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া আর কারো ছবি থাকবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শারদ শুভেচ্ছা ব্যানারে সেই নির্দেশের প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েনি। বরং শুভেন্দু অধিকারী ইদানীং যে সব অনুষ্ঠান করছেন, সেখানে কোনো দলীয় পতাকা যেমন দেখা যাচ্ছে না, সেরকমই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও থাকছে না। পুজোর আগেই দাদার অনুগামীদের নিয়ে শারদ শুভেচ্ছা নিয়ে একটি ব্যানার তৈরি হয়েছিল যেটি মালদা মুর্শিদাবাদের যেমন দেখা গিয়েছে, সেরকমই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরেও দেখা গিয়েছে। পুজো মিটতেই আমরা দাদার অনুগামীরা বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন জেলায় জেলায়। সেখানে কার্ড করা হয়েছে গেরুয়া রঙের। সেই কার্ডের এককোণে রাজস্থানি পাগড়ি মাথায় দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে।

আগামী 27 নভেম্বর পুরুলিয়ায় আমরা দাদার অনুগামীদের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনী হওয়ার কথা। পুরুলিয়ায় এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় বলেছেন, দলের নামে অনুষ্ঠান করলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়, অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেরকম কোনো কিছু করা হয়নি। অন্যদিকে পাশাপাশি এমন অনেকেই আছেন, যারা তৃণমূল করেন না, কিন্তু অনুষ্ঠানে আসতে চান। তাঁদের জন্যই দলীয় পতাকা ছাড়াই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। তবে বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল শিবিরের যে দূরত্ব প্রকাশ পাচ্ছে, তা মেটানোর দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সেক্ষেত্রে ব্যানার, পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে রাখা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মতভেদ নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের সম্পদ শুভেন্দু অধিকারী। জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যথেষ্ট সদ্ভাব রাখছেন দলের অন্যান্য নেতারা। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে সক্রিয় করে তোলার প্রথম পদক্ষেপ কি তৃণমূলের শারদ শুভেচ্ছা ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে স্থান পাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!