দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর আরও বড় চ্যালেঞ্জার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে আজ তৃণমূল নেত্রীর আরও বড় পদক্ষেপ জাতীয় রাজ্য February 13, 2019 কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে মেট্রো চ্যানেলে ধরনা দিতে দেখা গেছে খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এককাট্টা করারও আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন তিনি। এদিকে মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নায় সময় সেখানে সমস্ত বিরোধীদলের নেতা নেত্রীরা উপস্থিত হয়ে ভবিষ্যতে কেন্দ্র বিরোধী এই আন্দোলনকে দিল্লিতেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই মতো আজ থেকেই দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি বিরোধী এই ধরায় দেশের সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সেখানে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই যন্তরমন্তরে সেই ধরনায় উপস্থিত থাকার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন শরদ পাওয়ার, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং এইচ ডি দেবগৌড়ার মতো নেতারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে যেভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেইভাবেই দিল্লির মসনদে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চান তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর আজ বুধবার সেই যন্তরমন্তরের ধরনা কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এদিন এই ধরনা কর্মসূচি প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে গত 19 শে জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড সভায় যে সমস্ত মোদি বিরোধী দলগুলি অংশ নিয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই এদিনের ধরনা কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসে বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আগেই এদিন সংসদে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। সূত্রের খবর, অর্থবিলের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে সৌগত রায় বলেন, “লোকপাল গঠনে সবার প্রথমে যেভাবে 36 টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতি হয়েছে তার জবাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিতে হবে। রাজনৈতিক মোকাবিলা করার ক্ষমতা না থাকায় আজকে নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের পেছনে সিবিআই, ইডি লাগিয়ে দিচ্ছে।” অন্যদিকে এদিন সংসদে জিরো আওয়ারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলিকে। এদিন তিনি বলেন, “নেতাজিকে যদি অতই শ্রদ্ধা এবং সম্মান করেন নরেন্দ্র মোদী, তাহলে 23 শে জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষনা করুক কেন্দ্র।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলা থেকে দিল্লির মসনদে বিজেপি বিরোধী আওয়াজ তুলতে এবার দিল্লিতে পা রাখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যন্তরমন্তর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঠিক কিভাবে তোপ দাগেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -