মোদী-শাহের অশ্বমেধ ঘোড়ার লাগাম টানলেন মমতা, প্রভাব পড়বে ২৪-এ? জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য May 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনে 18 টি আসন দখল করার পর থেকেই রাজ্যে বিজেপির দাপট ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজার অনেক আগে থেকেই রাজ্যে বিভিন্ন কারণে ছুটে আসতে দেখা গেছে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহের মত বিজেপির শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু বারবার একা হাতে তাদের আটকে দিতে উদ্যত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতারা যখন বাংলা ব্যাপারে কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তৃণমূলের অনেকের মধ্যেও সংসারী তৈরি হয়েছিল অবশেষে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের একা হাতে আটকে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। ব্যাপক আসনে জয়লাভ করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বাংলার মানুষের মন বুঝতে তিনি যথেষ্ট সক্ষম। দেশের অন্যান্য রাজ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে গেরুয়া ঝড় তোলা হলেও, বাংলা যে কার্যত তাদের হিসেবের খাতা বাইরে চলে গেল, তা বলাই যায়। ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্ন দেখা বিজেপি নেতারা এখন কার্যত মুখ থুবরে পড়েছেন। 200 আসন দখলের কথা বলাই সার, যেভাবে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহরা বাংলায় তাদের অশ্বমেধের ঘোড়া চালাতে চেয়েছিলেন, 100 আসন পার করার আগেই সেই ঘোড়ার চাকা খুলে গেল বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে একাংশ। অনেকে বলছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য বিজেপি অনেকাংশে দায়ী। কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর তারা বিভিন্ন রাজ্যে একের পর এক ক্ষমতাসীন সরকারকে ফেলে দিয়ে সেই সমস্ত রাজ্য দখল করেছে। আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা বাংলা দখল করতে উদ্যত হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সেই আত্মবিশ্বাস এবং ঔদ্ধত্য যে বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি, তা ফলাফলের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট। এছাড়াও দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন বিজেপিকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনা সংকটে যখন মানুষ আতঙ্কিত, তখন বিপদের তোয়াক্কা না করে যেভাবে হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে রাজ্যে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার ফলাফল ইভিএমে দিয়ে দিয়েছেন সাধারন মানুষ। এছাড়াও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে মানুষের মনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সহানুভূতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বিজেপির নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ যতই বাংলায় এসে প্রচার করুক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অশ্বমেধের ঘোড়া যে তাদেরকে একশোর গণ্ডি পেরোতে দিল না, তা বলাই যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, যেভাবে প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি ও দিদি” বলে সম্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, তাতে বাংলার মহিলাদের একটা অংশ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এমনকি বাংলার নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের মুখেও সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একজন মহিলাকে পর্যুদস্ত করতে যেভাবে বিজেপির গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলায় সময় দিয়েছেন, তা খুব একটা ভালো চোখে নিতে পারেনি বাংলার মানুষ। এছাড়াও বিজেপির রাজ্যে কোনো মুখ না থাকায় সেভাবে গেরুয়া শিবিরের উপর ভরসা হয়ে ওঠেনি সাধারণ মানুষের। আর এই সমস্ত কারণেই নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে তারা সফল হলেও, বাংলা দখল যে কার্যত তাদের কাছে স্বপ্নই থেকে গেল, তা বলাই যায়। দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশ্বমেধের ঘোড়ার ধাক্কা এখন কিভাবে সামাল দেন বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -