এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > যোগীকে পাশে নিয়ে সন্ত কবীরের মাজার থেকেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজালেন মোদী

যোগীকে পাশে নিয়ে সন্ত কবীরের মাজার থেকেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজালেন মোদী


মিশন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। আর তাকেই পাখির চোখ করে এখন থেকেই যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন পদ্মশিবিরের শীর্ষনেতারা। প্রচার পর্বের আতুঁড় ঘর হিসাবে মোদীজি প্রথমেই বাছলেন উওরপ্রদেশের মঘরকে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য তাদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের তোলা – দলিত বিরোধী বা মুসলিম বিদ্বেষী অপবাদগুলো নিজেদের উপর থেকে ঝেড়ে ফেলা। তবে জানা গেছে যে এদিন প্রধানমন্ত্রী বিজেপির দলীয় কর্মসূচি নিয়ে মঘর যাননি। সরকারি একটি কাজেই মঘরে এসেছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন উওরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। তবে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো লোকসভা ভোটের আগে দলিত এবং মুসলিম বিরোধী তকমা হটিয়ে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন একেবারে সন্ত কবীরের মাজার থেকে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, এদিন তিনি যোগীজিকে নিয়ে সন্ত কবীরের মাজারে গিয়ে চাদর চড়ান এবং জানান যে তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে ছিল এখানে আসার। যে গুহায় কবীর সাধনা করতেন সেই স্থান দর্শন করার। এরপর তিনি মঘরের উপকন্ঠে সন্ত কবীরর অ্যাকাডেমির ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এই অ্যাকাডেমিতেই আগামীদিনে নাচ-গানের প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কবীর গবেষণালয়, লাইব্রেবী, অডিটেরিয়াম, হোস্টেল এমনকি গ্যালারিও তৈরি হবে বলেন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর তিনি সন্ত কবীর সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে, কবীরের সাধনা বিশ্বাসের নয়, জ্ঞানের সাধনা। কবীরের এই সাধনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা তাঁর। তিনি আরো জানান যে, মঘর নিয়ে কুসংস্কার ভাঙতেই কবীর এখানে সমাধি নিয়েছিলেন, তিনি জাতি ধর্ম ভেদাভেদের উর্দ্ধে মানবধর্মকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন বলেই মানুষ আজও তাঁকে এত ভালোবসেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তবে কবীর সম্পর্কে বলতে গিয়েই তিনি চলে আসেন সক্রিয় রাজনীতি প্রসঙ্গে। বিরোধীরা তাঁর দলের গায়ে ‘সাম্প্রদায়িক’ তকমা লাগাতে চেয়েছেন বারবার। কিন্তু এদিন পাল্টা বিরোধীদের উপর চাপ বাড়িয়ে তিনি বলেন, তাঁরাই একদিন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।বিরোধীরা শুধু নিজের দল পরিবার নিয়েই বেশি ভাবিত। এখন কেন্দ্রের ক্ষমতা লাভের আশায় নীতি ও আদর্শ ভুলে সেই জরুরি অবস্থা জারি করা দল এবং বিরোধীরা জোট বেঁধেছে। এরপর তিনি জনধন যোজনায় বিজেপির কর্মসূচি এবং সাফল্যের খতিয়ানের রূপরেখাও তুলে ধরেন মঘরের আমজনতার সামনে। প্রধানমন্ত্রীর মঘর সফর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল না। তবে রাজনৈতিকমহলের দাবী, মঘরের মুসলিম সম্প্রদায়ের ভরসাকে হাতিয়ার করে তিনি লোকসভা নির্বাচনে পদ্মশিবিরের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেই মঘরে এসেছিলেন। নয়তো ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ‘স্বর্গের দ্বার’ হিসাবে পরিচিত হিন্দুদের বিশেষ ধর্মীয় স্থান বারনসীকে প্রচারের মূল কেন্দ্রবিন্দু করেছিলেন। কিন্তু এবারে লোকসভা ভোটের আগে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আশ্রয় করে প্রচার পর্ব শুরু করলেন কেন? সমালোচকমহলে ইতিমধ্যে ঝড় উঠে গেছে এই প্রশ্ন নিয়ে। আসলে মঘরের উপকন্ঠে দাঁড়িয়ে সন্ত কবীরের দোঁহা আউরে তিনি বিজেপি এবং তাঁর উপর থেকে দলিত এবং মুসলিম বিরোধী অপবাদ হটাতে চেয়েছেন, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!