এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মন্ডল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল বিজেপিতে! তুলকালাম উত্তরবঙ্গ সামাল দিতে বিশাল পুলিশ

মন্ডল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল বিজেপিতে! তুলকালাম উত্তরবঙ্গ সামাল দিতে বিশাল পুলিশ


 

মন্ডল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণ সহ একাধিক অভিযোগ করতে দেখা যায় কোনো কোনো জেলাতে। কখনও তা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে দেখা যায় বিজেপি শিবিরের নেতাকর্মীদের। আর এবার মন্ডল সভাপতি নিয়ে দ্বন্দ্বের রেশ কাটতে না কাটতেই জেলা সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার নিল কোচবিহার তুফানগঞ্জ। রাজনৈতিকভাবে কোচবিহার জেলা বরাবরই স্পর্শকাতর’ হিসেবে পরিচিত।

সম্প্রতি অনেকটাই বেড়েছে জেলায় অশান্তির চিত্র। কিন্তু ইতিপূর্বে অশান্তির কারণ হিসেবে শাসক বনাম বিরোধীদের আন্দোলন থেকে থাকে। এক্ষেত্রে কিন্তু দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যাচ্ছে দলীয় কর্মীদেরকে।এদিন কোচবিহারের তুফানগঞ্জে বিজেপি জেলা সভাপতি মালতি রাভার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে তাই নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় বিজেপির দুইটি গোষ্ঠীর মধ্যে। পরিস্থিতি বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছে যে, রীতিমতো বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মন্ডল সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরে শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির 33 টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে 23 টি জেলায় সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে 6 টি সাংগঠনিক জেলায় নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রে পুরনো জেলা সভাপতি মালতির রাভাকেই পদে বহাল রেখেছে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব।

সেই কারণে গত রবিবার কর্মী-সমর্থকদের থেকে তুফানগঞ্জে মালতি দেবীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা বলে খবর। ভারতীয় জনতা পার্টির বিক্ষুব্ধ এই গোষ্ঠীর তরফ থেকে বারবারই অভিযোগ করতে দেখা যায় যে, কোনরকম দলীয় দায়িত্ব কর্তব্য পালন না করা সত্ত্বেও মালতিদেবীকে কেন জেলা সভাপতি পদে বহাল রাখা হল!

এছাড়াও মন্ডল সভাপতি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় স্তরে কোনরকম স্বচ্ছতা রাখা হয়নি। এমনকি জেলা সভাপতি পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নয়। এই সমস্ত অভিযোগ তুলে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় ভারতের জনতা পার্টির বিক্ষুব্ধ সদস্যদেরকে। শুধু তাই নয়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ দেখানোর পরে কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি মালতি দেবীর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা সদস্যদের সঙ্গে প্রবল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গড়ায় যে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে তা সামাল দেয়।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে যেভাবে মন্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের ছবি দেখা যাচ্ছে, সেখানে সেই সমস্ত মন্ডল সভাপতি এবং জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কি করে কাজ করবেন এই সমস্ত আন্দোলনকারী বিজেপি কর্মী সমর্থকরা!

তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কারণ একযোগে আন্দোলন না করলে আগামী নির্বাচনে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারা যে নেহাত স্বপ্নই থেকে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। এখন পরবর্তীতে এই বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় তথা রাজ্যের নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে! সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!