এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ বাঁচাতেই জ্যোতিপ্রিয়র পাশে ব্রাত্য? “ঝাঁকের কই” বলে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!

মুখ বাঁচাতেই জ্যোতিপ্রিয়র পাশে ব্রাত্য? “ঝাঁকের কই” বলে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন বন্টন দুর্নীতির কারণেই তাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে এরপর থেকেই তৃণমূল অবশ্য মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের অনেক নেতা বলছেন যে, এর দায় কোনোভাবেই দল নেবে না। আবার অনেকে বলছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তার পাশেই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে।

তবে সবকিছুই যখন আয়ত্তের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন জ্যোতিপ্রিয়বাবুর পাশে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনৈই গতি নেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। তাই মুখ বাঁচাতেই এবং নিজের মন্ত্রী পদ রক্ষা করতেই তার এই ধরনের বক্তব্য। বিরোধীরা অবশ্য তেমনটাই দাবি করছেন। তবে তৃণমূল দলের মধ্যে থেকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তখন তার বিপক্ষে হাঁটার মতো ক্ষমতা নেই কারোরই। যার কারণেই স্রোতের মধ্যেই ভেসে থাকার চেষ্টা করলেন ব্রাত্য বসু বলেই সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন ব্রাত্য বসুর মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে কার্যত ধুয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া এবং ষড়যন্ত্র হয়েছে বলা ছাড়া এখন তৃণমূলের কাছে আর কোনো উপায় নেই। শুধু তাই নয়, ব্রাত্য বসু নিজেও জানেন, শিক্ষা দপ্তরে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে আগামী দিন তিনিও বিপদে পড়তে পারেন। তাই এখন জোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়ে ঝাঁকের কই হয়ে গিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। অর্থাৎ এক কথায় এই ধরনের মন্তব্য করে ব্রাত্য বসুকে অসহায় এবং নিরুপায় বলেই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিরোধী দলনেতা বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল দলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দুর্নীতিও তার কথা মতই হয়ত বা হয়েছে। তিনিও অত্যন্ত ভয়ে রয়েছেন যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি জেরায় কোনো গোপন কথা ফাঁস করে দেন, তাহলে আগামী দিন বিপদে পড়ে যেতে পারে গোটা তৃণমূল দল। তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আর এই পরিস্থিতিতে ব্রাত্য বসু সবটা জেনেও নিরুপায়। কারণ তিনি জানেন, যদি তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে না দাঁড়ান, তাহলে আগামী দিন তার মন্ত্রী পদ নাও থাকতে পারে। শিক্ষা দুর্নীতির তদন্ত যেভাবে শুরু হয়েছে, তাতে তার নামও জড়িয়ে যেতে পারে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি “ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক” এই কথা বলে নাটক করার চেষ্টা করছেন বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে ব্রাত্য বসুকে ঝাকের কই বলে আখ্যা দিয়েছেন। একেবারে সঠিক কথাই বলেছেন তিনি। তৃণমূলে কারওর মেরুদন্ড নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য কথাটা তুলে ধরার মত। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে অন্যায় করেছেন, তা বলার মত ক্ষমতা কারওর হচ্ছে না। আসলে দুর্নীতির ঠাকুরদাদারা যে দলের মাথায় বসে রয়েছেন, সেখানে দুর্নীতি হবে, আর সেই দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে সব রকম চেষ্টা চলবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই স্রোতের সঙ্গে গা ভাসিয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টায় নেত্রীর সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি নাকি এত সংস্কৃতি মনস্ক ব্যক্তি! অথচ এত দুর্নীতি হওয়ার পরেও, রাজ্যের এক মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও, তার পাশে থেকে আবার নিজেকে মেরুদণ্ডহীন হিসেবে প্রমাণ করলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!