মুখের কথা নয়, এবার সংগঠনকে পুরো বদলে ফেলছে সিপিএম! নয়া পদক্ষেপের গুঞ্জন! বামফ্রন্ট রাজনীতি August 10, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরে যখন একের পর এক ধাক্কা আসতে শুরু করেছিল বামেদের অলিন্দে, তখনও এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তাদের। বামেদের বড় শরিক সিপিএমের বহু বিষয় নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে বারবার সিপিএমের বৃদ্ধতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলের একাংশ। আরও বেশি তরুণ প্রজন্মের মুখ আনা উচিত বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছে নেতা কর্মীদের। কিন্তু তারপরেও সিপিএমের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংগঠনের যে কোনো শক্তি রাজ্যজুড়ে নেই, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সিপিএম নেতৃত্বের কাছে। যেখানে এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় একটি আসনও দখল করতে পারেনি বামেরা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সিপিএমের পক্ষ থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সরিয়ে তরুণ প্রজন্মকে আনার চিন্তাভাবনা শুরু করে দেওয়া হল। যার জেরে কিছুটা হলেও আশার আলো তৈরি হয়েছে দলীয় স্তরে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে। আর সেখানেই আগামী দিনের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, কিভাবে সংগঠনকে চাঙ্গা করা যায়, তার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা বলে হবে বলে খবর। তবে এই আলোচনার মাঝে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে সিপিএমের অনেক নিষ্ক্রিয় নেতাদের সরিয়ে সক্রিয় এবং তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আসা। অর্থাৎ সংগঠনকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সিপিএমের পক্ষ থেকে এখন যুব শক্তির উপর সবথেকে বেশি ভরসা রাখা হচ্ছে। অনেকে আশা প্রকাশ করে বলছেন, এতদিন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। হয়তো বা এবার দল ব্যাপক ভরাডুবির মুখে পড়ার কারণে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি করতে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যবেক্ষকদের মতে, দীর্ঘ 34 বছর ধরে যে সিপিএম পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল, তারা এখন রাজ্য বিধানসভায় কার্যত শূন্য। যা দেখে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। এমনকি সিপিএমের এই ফলাফলে তৃণমূলের অনেকের গলাতেও শোনা গিয়েছে হতাশার সুর। আমি এই ফলাফলের পিছনে যে সব থেকে বেশি দায়ী সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি না করা, তা ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছে দলীয় নেতৃত্ব। তাই খুব তাড়াতাড়ি বসতে চলা রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তরুণ প্রজন্মের মুখ এনে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের সরাতে সিপিএম কতটা সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -