এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর তোলা দুর্নীতির অভিযোগের মোক্ষম জবাব রাজ্যপালের, পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগে একহাত রাজ্য সরকারকে

মুখ্যমন্ত্রীর তোলা দুর্নীতির অভিযোগের মোক্ষম জবাব রাজ্যপালের, পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগে একহাত রাজ্য সরকারকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যপাল হলেন আদ্যোপান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ, হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজ্যপালের। এরপর, এর পাল্টা বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ ভুয়ো ও অসত্য বলে জানালেন তিনি। তিনি জানান, হাওয়ালা মামলার কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে এমনটা আশা করেন না রাজ্যপাল।

গতকাল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন এমন রাজ্যপাল তিনি আগে কখনো দেখেননি। রাজ্যপাল একজন আদ্যোপান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। রাজ্যপালের নাম রয়েছে হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে। কিন্তু এরপরও কেন্দ্র রেখে দিয়েছে এই রাজ্যপালকে। উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে উস্কানি দিতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অপসারণ চেয়ে তিনি তিনটি চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয় নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর, এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য দিয়েছেন। হাওয়ালা কান্ডের চার্জশিটে রাজ্যপালের নাম ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ পর্যন্ত নেই। এমনকি এই কাণ্ডে এখনো পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্তও করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এ ধরনের বক্তব্য রাখা উচিত নয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, উত্তেজনা তৈরি করার জন্য তিনি এধরনের মন্তব্য করেছেন।

রাজ্যপাল জানান, হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে অজিত পাঁজা, যশবন্ত সিনহার নাম ছিল, পরবর্তীকালে অভিযোগ থেকে মুক্ত হন তাঁরা। কিন্তু তাদের নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা হয়নি। কেউ এদের নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন তুলছেন না। করোনা অতিমারীর সময় ২০০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। তবে, এই দুর্নীতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই নিশ্চুপ। তিনি প্রশ্ন করেছেন, দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট কেন সামনে আনা হয়নি? সে সময়কার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চুপ করে গিয়েছিলেন? কেন তিনি কোনো প্রশ্ন তোলেননি?

রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন শুরুর পূর্বে ভাষণের জন্য তাঁকে যে বয়ান পাঠানো হয়েছিল, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। যা জানাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে ১০ মিনিট কথা হয়েছে তাঁর। তিনি অভিযোগ করেছেন, উত্তরবঙ্গের যে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন তিনি, তা কল্পনার বাইরে। সেখানে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই।

তাঁর বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, তিনি নিজের কাজ করে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নাগরিক হিসেবে তিনি কারো কাছে মাথা নত করবেন না। একমাত্র সংবিধানের কাছে মাথানত করবেন তিনি। অন্যদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোলা মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জানিয়েছেন যে, মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে দিতে এখন রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কোথায় দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। আর তৃণমূল দলটা পাঁকের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে, ডুবে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, তবে, সেদিকে কোন চিন্তা নেই মুখ্যমন্ত্রীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!