এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মুনাফার লোভে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে খোদ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ? বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে চাকরি ছাড়লেন কর্মী

মুনাফার লোভে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে খোদ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ? বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে চাকরি ছাড়লেন কর্মী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই বিজেপির তাবেদারী করা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুললে সেই সময় ফেসবুকের তরফ থেকে ব্যান করা হয়েছিল এক বিজেপি নেতার অ্যাকাউন্ট। সেক্ষেত্রে ফেসবুকের তরফ থেকে বলা হয়েছিল বিজেপির বিধায়ক টি রাজা সিংকে হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানো নিয়ে ফেসবুকের নিয়মের লঙ্ঘন করায় ব্যান করা হচ্ছে। শুধু ফেসবুক নয়, সেই সময় তাঁর ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্টও ব্যান করে ফেসবুক। তবে এবার আবার মুনাফার লোভে ফেসবুক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, এই অভিযোগে খোদ ফেসবুকেরই এক কর্মী অভিযোগ এনেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর চাকরি ছেড়ে দেওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত বিতর্ক।

অভিযোগ করেছেন, এই সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার অশোক চান্দওয়ানে। তাঁর ১৩০০ শব্দের সেই পদত্যাগপত্রে তিনি সংস্থার বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। সেই চিঠিতে স্পষ্ট করে কোথায় কোথায় কীভাবে বিদ্বেষমূলক পোস্টকে ফেসবুক প্রশয় দিয়েছে, তাও তিনি উল্লেখ করেছেন বলে জানা গেছে। সেই অভিযোগে বিশেষ করে মায়ানমার ও কেনোশিয়ার অশান্তির কথা উল্লেখ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, কেনশিয়ায় একদল উগ্রপন্থী বন্দুক নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর উসকানি দেয়। তবুও সেই পোস্টগুলি ফেসবুকের তরফ থেকে সরানো হয়নি। শুধু তাই নয়, সেই পোস্টের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘লুঠপাট শুরু হলেই, গুলি চালানো শুরু হবে’, এই মন্তব্যের কথাও পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বক্তব্য, তিনি এমন সংস্থার হয়ে আর কাজ করতে পারবেন না, যাঁরা মার্কিব যুক্তরাষ্ট্র-সহ গোটা বিশ্বে বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুনাফা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর তাঁর এই অভিযোগই শুরু হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও এরপর চুপ করে থাকেনি। এই অভিযোগের প্রতিবাদে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয় যে, তারা বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুনাফা করার মানসিকতা রাখেন না। উপরন্তু তারা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে শুধু ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিজেদের নীতির পর্যালোচনাও করে থাকে তারা। তাই ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও বিদ্বেষমূলক পোস্ট নিয়ে অপব্যবহারকারীরা রিপোর্ট করার আগেই ফেসবুক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে যখন ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সেই সময় সেই সংস্থারই এক কর্মীর এই অভিযোগ যথাযথ কিনা সেটা ব্যবহারকারীদের বিচার করে দেখতে বলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকদিন থেকেই ফেসবুক সম্পর্কে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কিছুদিন আগে বলা হয়েছিল যে, ফেসবুক বিজেপির নীতিকে সমর্থন করে আর তাই দলের এক বিধায়ককে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার পরেও ফেসবুক থেকে তাকে ব্যান করা হচ্ছে না। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কংগ্রেস আর দেশের সমস্ত বিরোধী দল গুলো তারপর বিজেপির উপর রেগে ওঠে। এরই ফল স্বরূপই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ফেসবুক আর বিজেপি সরকারের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে। তবে সেটা দেখেই ফেসবুক শেষ পর্যন্ত ব্যান করে তাঁর অ্যাকাউন্ট। তবে এবার আবার এমন একটি অভিযোগ, সেই জল্পনাকেই নতুন করে উস্কে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!