এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় অনুরোধ মুসলিম সংগঠনের, বাড়ছে জল্পনা

লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় অনুরোধ মুসলিম সংগঠনের, বাড়ছে জল্পনা


রাজ্যে কোনো একটি সম্প্রদায়ের কারণে লকডাউন প্রতিনিয়ত ভাঙছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে প্রথম থেকেই করোনায় যাতে হিন্দু- মুসলিম ভেদাভেদ না হয়, তার জন্য পরোক্ষে নাম না করে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের অভিযোগ তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তৃতীয় দফার লকডাউন শেষে চতুর্থ দফার লকডাউন আবার শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

তাই এমন পরিস্থিতিতে এবার সংখ্যালঘুদের সংগঠনের তরফ থেকে সেই লকডাউনকে আরও বৃদ্ধি করার জন্য আর্জি জানানো হল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রমজান মাস থাকা সত্ত্বেও মানুষের ক্ষতি করে যাতে সেই লকডাউন কোনোভাবেই শিথিল করা না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন জানাল ন্যাশনাল হিউম্যান ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। আর সংখ্যালঘু সংগঠনের পক্ষ থেকে মানুষের জীবনে সুরক্ষার কথা তুলে ধরের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোয় এখন রীতিমত আশার আলো তৈরি হয়েছে গোটা বাংলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “উৎসব পালন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হোক, সেটা মুসলিম সমাজ কেন কোনো সমাজই মানতে পারবে না। সেই কারণে আগামী 30 মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে।” শুধু তাই নয়, মুসলিম সমাজ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছে বলেও সেই চিঠিতে জানিয়েছেন ন্যাশনাল চিফ সেক্রেটারি আজিজ উসমানি।

বস্তুত, মুসলিমদের শ্রেষ্ঠ উৎসব রমজান মাস। কিন্তু এখানেও যেভাবে তারা করোনা ভাইরাসের কারণে তা ত্যাগ করার কথা বললেন এবং মানুষকে বাঁচানোর জন্য সেই লকডাউন বাড়ালেও কোনো ক্ষতি নেই বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেন, তা নিঃসন্দেহে মুসলিম সমাজের মানবিকতার পরিচয়কেই প্রকাশ্যে আনল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। একাংশের মতে, লকডাউন প্রয়োগ হওয়ার পর বেশ কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তারা লকডাউন ভাঙতে শুরু করেছেন।

তবে এবার যেভাবে নিজেদের রমজান মাসকে ত্যাগ করে মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে সেই লকডাউন বাড়ানোর কথা বললেন এই মুসলিম সংগঠন, তাতে সেই সমালোচকদের মুখ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলার ইমামদের সংগঠন চিঠি লিখে আবেদন করেছিল – মাদ্রাসা ও মসজিদগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হোক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে করোনা শিখিয়ে দিয়ে গেল – জাতি-ধর্মের উপরে উঠে মানব ধর্মই হচ্ছে আসল ধর্ম। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!