এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামে কেন স্থগিত মুখ্যমন্ত্রীর সভা? জবাব দিলেন জনৈক হেভিওয়েট মন্ত্রী

নন্দীগ্রামে কেন স্থগিত মুখ্যমন্ত্রীর সভা? জবাব দিলেন জনৈক হেভিওয়েট মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শহীদ দিবস উপলক্ষে আগামী ৭ ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রামে এটাই হতে যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সভা। কিন্তু, আজ হঠাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, আগামী ৭ ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে হবে এক কর্মীসভা। যেখানে যোগদান করবেন সুব্রত বক্সী।

মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত করে দেবার পর তা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন ওঠে। বিজেপির পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। ভয় পাওয়ার কারনেই আগামী ৭ ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করতে আসছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আজ তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হলো যে, ৭ই জানুয়ারির পরিবর্তে অন্য কোন দিন মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন নন্দীগ্রামে।

এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন যে, রামনগরের বিধায়ক ও জেলা তৃণমূলের তৃণমূলের কো- অর্ডিনেটর অখিল গিরি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা তৃণমূলের অন্যতম সংগঠক তিনি। তাই তাঁকে ছাড়া কখনোই সভা করা সম্ভব নয়। এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত করা হলো। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর সভা বাতিল করা হয় নি। অখিল গিরি সুস্থ হলেই সভা করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি, করোনা আক্রান্ত হয়ে অখিল গিরি ভর্তি আছেন বেলেঘাটা আইডিতে। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর শাসকদল তৃণমূলে তাঁর গুরুত্ব যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে মনে করছেন যে, তাঁর অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভা পিছিয়ে দিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, নন্দীগ্রামে তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।

তবে, অখিল গিরির অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভা পিছিয়ে দেয়ার ঘটনাকে যথেষ্ট কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত কণিষ্ক পণ্ডা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” এটা হাস্যকর। তিনি যে মিথ্যে কথা বলছেন, সুব্রতদার কথা শুনে তা মানুষ বুঝে গিয়েছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জি খুব স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন যে নন্দীগ্রামে তাঁর পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। কারণ শহিদ পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করবেন, এতদিন পর মনে পড়ল? এই মাটি আর তোমার নেই। এই মাটি শুভেন্দুর। “

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!