এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামে পুর্নগননা? কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল!

নন্দীগ্রামে পুর্নগননা? কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও দিনভর কৌতুহল তৈরি হয় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। একের পর এক আসনে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা এগিয়ে যেতে শুরু করেছিলেন, তখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সেয়ানে সেয়ানে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জয়লাভ করে, তার দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে। আর শেষ মুহূর্তে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

আর তারপরই রীতিমত আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। মূলত, এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু ছিল। এখানে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজিত হয়ে যান, তাহলে তার দল জয়লাভ করলেও, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর সামনে আসতে না আসতেই শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এর কিছু পরেই সার্ভার ডাউনের জন্য ঠিকমত ফলাফল সামনে আসছিল না বলে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।

আর তারপরেই রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপরেই রীতিমত শোরগোল তৈরি হয় রাজ্যজুড়ে। প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খবর সামনে আসার পরেও, কেন আবার ফলাফল পাল্টানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে পুনর্গণনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম আসনে পুনর্গণনা চেয়ে রবিবার রাতে কমিশনের দপ্তরে যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। সেখানে গিয়ে তারা একটি প্রতিবাদ পত্র দিয়ে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পুর্নগগনার দাবি জানায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং কাশিপুর বেলগাছিয়ার সদ্য জয়ী বিধায়ক অতীন ঘোষ। মূলত, সাতটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুনর্গণনার দাবি জানানো হয়েছে। স্বভাবতই এখন নন্দীগ্রাম নিয়ে রাজ্য রাজনীতির সমস্ত বিষয় আলোচিত হতে দেখা যাচ্ছে।

একাংশ বলছেন, সাতটি বিষয়কে সামনে রেখে তৃণমূল তাদের দাবি জানিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বার বার গণনা পর্ব ব্যবহৃত হওয়া, ইভিএমের ভোটের ক্ষেত্রে কারচুপি এবং বাতিল ভোট বিজেপির বলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও তৃণমূলের বৈধ ভোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং খুব স্বল্প ব্যবধানে জয় নিয়ে সংশয় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে।

পাশাপাশি ভুয়ো ব্যালট ভোট বিজেপির পক্ষে দেখানো এবং পোস্টাল ব্যালট গোনার ক্ষেত্রে গোলমাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পর্যবেক্ষকদের মতে, এর ফলে আশঙ্কা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যে নন্দীগ্রাম নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে, এখন সেই নন্দীগ্রাম সমস্ত জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, ততই নন্দীগ্রাম নিয়ে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সমগ্র রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!