প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা পত্রিকায় আজ দাবি করা হয়েছে যে, আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাগো বাংলা পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, রাহুল গান্ধী পারেননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ। এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্ব।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, জাগো বাংলা পত্রিকা কে পড়ে? তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের ছবি ছাপাচ্ছে। সেখানে নিজেরাই তাদের নেত্রীর ছবি ছাপাচ্ছে। তাদের নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু, তাতে সাধারণ মানুষের কিছু আসে-যায় না। মানুষই শেষ কথা বলবে। নন্দীগ্রামে তারা শেষ কথা বলেছেন। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

আবার, এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানালেন যে, জাগো বাংলা যাদের পত্রিকা, তাদের কাজ তাদের নেতা-নেত্রীকে উন্নীত করা, সেটাই তারা করেছে। কারো যোগ্যতা নিয়ে তিনি কোন প্রশ্ন করতে চান না। যদি নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হতে পারবেন। একসময় লালুপ্রসাদ যাদব দাবি করেছিলেন যে, যিনি জিতবেন, তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু সেটা নির্ণয় করতে হবে ২০২৪ সালে।

এখনই যদি জাগো বাংলা পত্রিকা যদি তাদের জাগাতে আরম্ভ করে যে, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল দাও। তা সমীচীন হবে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই যেখানে বলেছেন যে, এখন থেকে কিছু নয়। সবাই মিলে ঠিক করবেন। অথচ তার দলের লোকেরাই উল্টো কথা বলছেন। যাদের সঙ্গে কথা বলছেন সেই দলের কাছে তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। কার যোগ্যতা আছে? কার যোগ্যতা নেই? তা দেশের মানুষ ঠিক করবেন। রাহুল গান্ধীর সম্বন্ধে তাঁরা জানেন না। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল রাজনীতি কংগ্রেস করে না।