এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নাট্যজগতে নক্ষত্র পতন, সবার অলক্ষ্যে অজানার দেশে পাড়ি দিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার,নাট্যব্যক্তিত্ব

নাট্যজগতে নক্ষত্র পতন, সবার অলক্ষ্যে অজানার দেশে পাড়ি দিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার,নাট্যব্যক্তিত্ব


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মৃত্যুর অন্ধকারে হারিয়ে গেলেন প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। পিতার মতোই তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল সকলের অগোচরে যেন তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর ইচ্ছানুসারেই শেষকৃত্যের পর তার মৃত্যু সংবাদ প্রকাশে আনলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ। গতকাল রবিবার বিকেলে মৃত্যু ঘটলো বিখ্যাত নাট্যকার শম্ভু মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্রের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।

গতকাল বিকেল তিনটে বেজে ৪০ মিনিটে শাঁওলি মিত্রের মৃত্যু ঘটেছে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী অনাড়ম্বরভাবে সিরিটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হলো তার মৃত্যুর পরে প্রকাশ করা হয়েছে আইনি কাগজে নথিভূক্ত তার শেষ ইচ্ছা। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ফুলভারের কোনো প্রয়োজন নেই, সামান্য ভাবে সাধারণের অগোচরে যেন তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তাকে উদ্দেশ্য করে প্রচুর মিথ্যে বর্ষিত হলেও দর্শকের কাছে, পাঠকের কাছে, বহু মানুষের কাছে অসীম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন। তার শেষকৃত্যের দায়িত্ব তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন তার মানস কন্যা অর্পিতা ঘোষ ও পুত্রসম সায়ক চক্রবর্তী উপরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শাঁওলি মিত্রের শেষকৃত্যের পর অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, শাঁওলি মিত্র তাকে বলেছিলেন যে, তাঁর বাবার মতোই তিনি যেতে চান। তাঁর শেষকৃত্যের কাজ শেষ করার দায়িত্ব তাকে তিনি দিয়েছিলেন। তাই তিনি করেছেন। এরপর তার ইচ্ছা অনুসারে তিনি সকলকে জানাচ্ছেন। শাঁওলি মিত্রের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিভাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শাঁওলি মিত্রের বিরাট প্রতিভা ছিল। তার অত্যন্ত খারাপ লাগছে। তাঁর থেকে বয়সে তিনি ছোট ছিলেন। এভাবে তিনি চলে যাবেন তা তিনি ভাবতে পারছেন না।

শাঁওলি মিত্রের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিল তখন শাঁওলি মিত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি দায়িত্ব এলে তাকে বাংলা একাডেমীর সভাপতি করা হয়। দায়িত্বের সঙ্গে মূল্যবান কাজ তিনি করেছেন। বাংলা সরকার তাকে ২০১২ সালে বঙ্গ বিভূষণ, ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুসারে তাঁর প্রয়ানের খবর তাঁর শেষকৃত্যের পর তাঁকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাছের মানুষ হিসেবে তাকে তিনি মনে ধরে রাখবেন। বহুদিনের সহকর্মী ও সুহৃদ হিসেবে মনের মনিকোঠায় তিনি থেকে যাবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!