এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নতুন ব্যবস্থায় ইপিএফে টাকা না জমা পড়ার ‘টেনশনের’ দিন শেষ – জানুন বিস্তারিত

নতুন ব্যবস্থায় ইপিএফে টাকা না জমা পড়ার ‘টেনশনের’ দিন শেষ – জানুন বিস্তারিত


এবার ইপিএফ নিয়ে প্রতারণা দিন শেষ – গ্রাহকদের সুবিধার কথা ভেবেই নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। এতদিন দেশের বহু সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন থেকে পিএফের টাকা কেটে নিলেও তা ইপিএফে জমা করে না বলে অভিযোগ উঠত। এর জেরে প্রতারিত হন বহু গ্রাহক, এই অভিযোগ গ্রাহকদের বহুদিনের। গত দুবছরে এই ইপিএফ সংক্রান্ত মোট ২ হাজার ৪৯৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯২৪ টি অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। গ্রাহকদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে নয়া ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও) সূত্রের খবর, এই লক্ষ্যে পুনেতে তৈরি হচ্ছে বিশেষ সফটওয়্যার। যা খুব সহজেই প্রতারকদের চিহ্নিত করতে পারবে এবং যার জেরে মুহূর্তের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের এসএমএস পাঠাতে পারবে ইপিএফও। বর্তমানে প্রতিমাসে ইপিএফ কন্ট্রিবিউশান জমা পড়ার পর গ্রাহকরা তাঁদের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস পান। নির্দিষ্ট মাসের জন্য তাঁদের ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়েছে এবং সবমিলিয়ে তাঁদের ওই খাতে কত টাকা জমেছে, এসএমএসে তা উল্লেখ করা থাকে। কিন্তু টাকা জমা না পড়লে ওই মর্মে কোনও মেসেজ আসে না গ্রাহকের মোবাইলে।

ফলে গ্রাহকরা প্রতারিত হলেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনেক সময় চলে যায়। কিন্তু নয়া ব্যবস্থায় এই ঝঞ্ঝাট থাকছে না। এবার থেকে সংস্থা কর্তৃপক্ষ কর্মীদের ইপিএফ খাতে মাসিক প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) জমা না দিলে এবার তা এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহকেরা। সেই এসএমএসের বয়ান হবে, ‘এই মাসে আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে কোনও কন্ট্রিবিউশন জমা পড়েনি।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইপিএফ সংক্রান্ত সমস্যাটির কথা সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। বকেয়া থাকা দেড় হাজারেরও বেশি অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাশাপাশি যেসব সংস্থা এভাবে প্রতারিত করছে তাঁদের চিহ্নিত করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করারও সুপারিশ করা হয়েছে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফ থেকে। এই প্রেক্ষিতে কীভাবে ইপিএফ গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছেন, তার একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গিয়েছে। সাধারণত দেশের যে সমস্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন কর্মী রয়েছেন সেই সব সংস্থাই ইপিএফের অধীনস্থ। ওইসব কর্মীর মধ্যে যাঁদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা, তাঁরা নিয়ম মোতাবেক ইপিএফের আওতায় চলে আসেন। সাধারণত, একজন গ্রাহক তাঁর মাসের মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২% অর্থ ইপিএফ খাতে কন্ট্রিবিউট করে থাকেন। ওই গ্রাহকের হয়ে তাঁর সংস্থা কর্তৃপক্ষ আরও ১২% অর্থ কন্ট্রিবিউশন হিসেবে জমা দেয়।

কর্তৃপক্ষের দেওয়া কান্ট্রিবিউশনের ৩.৬৭%যায় কর্মীর ইপিএফ পেনশন অ্যাকাউন্টে, বাকি ৮.৩৩% যায় গ্রাহকের ইপিএফ খাতে। কিন্তু সরকারি সূত্রের রিপোর্ট বলছে, অনেক সময় কর্মীর বেতন থেকে ওই কন্ট্রিবিউশন কেটে নিলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃপক্ষ তা ইপিএফওতে জমা দেয় না। এর জেরে চরম প্রতারণার শিকার হন গ্রাহকেরা। অবসর নেওয়ার সময় তাঁদের আরও বেশি ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ইপিএফ সংক্রান্ত টেনশান থেকে মুক্তি মিলতে চলেছে গ্রাহকদের। এবার থেকে কোনো অ্যাকাউন্টে ইপিএফ কন্ট্রিবিউশন জমা না পড়লেই গ্রাহকরা মেসেজ পেয়ে যাবেন, ফলত অতি দ্রুত এই ইস্যুতে তিনি অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের এই ইস্যুতে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নিতে পারবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!