এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিজেদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনছে তৃণমূল, চিন্তার ভাঁজ রাজ্য নেতৃত্বের!

নিজেদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনছে তৃণমূল, চিন্তার ভাঁজ রাজ্য নেতৃত্বের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবার তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলোর বিরুদ্ধে তৃণমূলের একাংশ অনাস্থা আনার উদ্যোগ গ্রহণ করতেই রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব। 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কথা শোনা যায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের গলায়। যার জেরে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় রাজ্য নেতৃত্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে রাজ্যের পক্ষ থেকে আইন বদল করা হয়। যেখানে আড়াই বছরের আগে কোনো পঞ্চায়েতে সেভাবে অনাস্থা আনা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তবে এখন আড়াই বছর পার হওয়ার পরেই একাধিক পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্যরাই অনাস্থা শুরু করেছেন।

স্বভাবতই নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন দলীয় সদস্যরা যেভাবে দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন, তাতে ঘাসফুল শিবিরের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। তাই দলীয় স্তরে আলোচনা করেই যাতে সমস্যার সমাধান করা যায়, তার জন্য বার্তা দিতে শুরু করেছেন রাজ্য স্তরের নেতারা। সূত্রের খবর, মালদহ থেকে শুরু করে মেদিনীপুর, নদীয়া থেকে শুরু করে উত্তর 24 পরগনা, একাধিক জেলায় তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে উদ্যত হয়েছে তৃণমূলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল এমনিতেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তবে নির্দিষ্ট সময়সীমা না পেরোনোর কারণে সেভাবে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হচ্ছিল না। কিন্তু এবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। যার ফলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একাংশের অনাস্থা ভাবাতে শুরু করেছে রাজ্য থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বকে। আলোচনার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীদের যাতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা থেকে বিরত রাখা যায়, তার জন্য চেষ্টা শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

কিভাবে এই গোটা পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া যাবে? রাজ্যের পক্ষ থেকে আইন তৈরি করা হয়েছিল, আড়াই বছরের আগে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময় তো পেরিয়ে গিয়েছে! এখন তো তৃণমূল পরিচালিত একাধিক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একটা অংশ অনাস্থা প্রস্তাব আনতে উদ্যত হয়েছে! তাহলে তাকে কিভাবে আটকে দেবে ঘাসফুল শিবির? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইনে অনাস্থা প্রস্তাবের সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে দু’বছরের মাথায় অনাস্থা আসতে পারে। দলীয় নেতৃত্বকে বলেছি, অন্তত জেলাস্তরে আলাপ-আলোচনা করে অনাস্থা সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া দরকার।”

অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, এতদিন আইনের আশ্রয় নিয়ে যাতে নিজেদের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নিজেদের দলীয় সদস্যরা অনাস্থা ন আনতে পারে, তার জন্য কৌশল গ্রহণ করেছিল শাসক দল। কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। এবার সেই আইনের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন চাপে পড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সেক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনা করে গোটা পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু আদৌ এই সমস্যার সমাধান হবে কিনা, কিভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেবে তৃণমূল কংগ্রেস, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!