এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নয়া গাইডলাইন জারি, জাতীয় স্তরে বিস্তার লাভে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!

নয়া গাইডলাইন জারি, জাতীয় স্তরে বিস্তার লাভে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস‌। এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ম যেমন লাগু হয়েছে, ঠিক তেমনই বিভিন্ন রাজ্যে বিস্তার লাভ করতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্য দপ্তরকেও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে তৃণমূল ভবন।

পাশাপাশি নয়া গাইডলাইন জারি করে তৃণমূল ভবন যাতে কোনো সময় ফাঁকা না থাকে এবং কর্মীরা এসে যাতে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পায়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে দলের রাজ্য দপ্তরে প্রতিমুহূর্তে নেতা-নেত্রীদের থাকতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে‌। অর্থাৎ এতদিন তৃণমূল ভবন থাকলেও, সেখানে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে আসা কর্মীরা প্রয়োজনে তাদের নেতা নেত্রীদের পেতেন না। যার ফলে অনেক সময় কখন কোন নেতা আসবেন, তার জন্য হা-পিত্যেশ করে ভবনে পড়ে থাকতে দেখা যেত দলের নেতা-কর্মীদের। তবে এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দল যখন লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে, তখন পার্টি অফিসে নেতা-নেত্রীদের থাকার জন্য বাধ্যতামূলক ফর্মুলা জারি করল শাসক দল।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কোন নেতা কোন দিন পার্টি অফিসে বসবেন এবং কতদিন তাকে পার্টি অফিসে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে হবে, সেই ব্যাপারে তালিকা তৈরি করে দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে শুধু মাদার সংগঠনের নেতা-নেত্রী নন, এক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে যুব সংগঠনের নেতা নেত্রীদেরও পার্টি অফিসে বসা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলের বিস্তারলাভের টার্গেট নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেই কারণে পার্টি অফিসকে সচল করতে সেখানে সমস্ত স্তরের নেতা-নেত্রীদের আগমন যাতে বাধ্যতামূলক হয়, তার জন্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। যা অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য পদক্ষেপ বলেই দাবি করছেন তৃণমূলের নীচুতলার নেতা-কর্মীরা। কেননা যে কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই পার্টি অফিসের ভূমিকা অপরিহার্য।

কিন্তু এতদিন তৃণমূলের পার্টি অফিস থাকলেও, সেখানে নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা সেভাবে থাকত না। কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে 21 জুলাই থেকে শুরু করে 28 আগস্ট কলকাতার প্রোগ্রামে গিয়ে নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও, তৃণমূল ভবনে কারওর দেখা মিলত না। যা নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ ছিল। তবে এবার অবশেষে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “পার্টি অফিস একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। পার্টি অফিসে যাওয়ার অভ্যাস থাকা জরুরি। একজন সক্রিয় নেতা বা মন্ত্রীর নিয়মিত পার্টি অফিসে থাকা দলের জন্য ভালো। এমনিতেই নির্বাচনের পর দলের সাংগঠনিক মিটিং এবং কর্মকাণ্ড আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। আগামী দিনে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব।”

বিশ্লেষকেরা বলছেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলের বিস্তারলাভ ঘটাতে গেলে নেতাদের সক্রিয় হওয়া যেমন জরুরি, ঠিক তেমনই রাজ্য দপ্তরের কর্মীদের আনাগোনা অনেকটাই বাড়বে। যার ফলে কর্মীরা যদি নেতাদের ঠিকমত না পান, তাহলে তাদের সাংগঠনিক নানা অসুবিধা তারা কার কাছে ব্যক্ত করবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। আর সেই কারণেই এবার তৃণমূল ভবনের কার্যকলাপ আরও বেশি সক্রিয় করতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থাৎ নতুন ধাঁচে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!