এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > “প্রাগৈতিহাসিক” নিয়ম বদলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর, হাসি ফুটবে 40 হাজার নার্সের মুখে

“প্রাগৈতিহাসিক” নিয়ম বদলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর, হাসি ফুটবে 40 হাজার নার্সের মুখে

ইন্টারনেট, ফেসবুকের আমলে যখন গোটা দুনিয়াকে চিনে নিচ্ছে মানুষ, ঠিক তখনই এই
ই যুগের সময়েও বছরের বছর ধরে প্রতিনিয়ত 40 টি খাতা আপডেট রাখতে হয় অক্সিলারি নার্স মিডওয়াইফারি। যার জেরে কার্যত হাঁসফাস অবস্থা নার্সদের। আর নার্সদের দুর্গতির এই বিষয়টি চোখে পড়েছিল মিনি স্বাস্থভবনের। কেননা, সম্প্রতি জেলা এবং রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সমন্বয়ে যে এক্সচেঞ্জ পোগ্রামে অনুষ্টিত হয়েছিল জেলাগুলিতে সেখানেই এই বিষয়টি নজড়ে আসার সাথে সাথেই এই ব্যাপারে তৎপর হয় স্বাস্থভবন। তাই এবারে সেই খাতার বোঝা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, 40 টির বদলে তিন চারটি খাতা করতে চায় স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে থাকা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং এএনএম এই দুই ধরনের নার্সেরা থাকেন। জানা গেছে, বর্তমানে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট 10357 এবং স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে নিযুক্ত এএনএম 8609 জন রয়েছেন। তাহলে এত কর্মী থাকতেও খাতা আপডেট করতে সময় লাগছে কেন? আর কিসেরই বা এত খাতা? জানা যায়, গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা অ্যান্টেনেটাল চেক আপ রেজিস্ট্রারের খাতার সংখ্যা চার থেকে পাঁচটি, সন্তান হওয়ার পরবর্তী চেকআপের জন্য একটি খাতা, সদ্যজাতের চেকআপে একটি খাতা, যক্ষ্মা এবং কুষ্ট রোগীদের তথ্য ঠিক রাখতে তিনটি, স্কুলপড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের তথ্যের জন্য দুটি, জ্বর হওয়া রোগীদের রেফার করার জন্য চার থেকে পাচটি খাতা রয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এখানেই শেষ নয়, গর্ভবতী মায়েদের ইউরিন, অ্যালবুমিন,সুগার পরীক্ষার জন্য একটি, আশঙ্কাজনক মায়ের তথ্য নথিভুক্তিতে একটি, এছাড়াও, হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা, এইচআইভি পরীক্ষা, সাধারন রোগীদের সুগার, প্রেসার, ক্যান্সারের ওথ্যের জন্য তিনটি খাতা, সাধারনের কোনো বিষয়ে ভালোমন্দ প্রতিক্রিয়ায় একটি এবং উচ্চপদস্থ কর্তারা কেউ পরিদর্শনে এলে তাদের বক্তব্য ইন্সপেকশন বুকে তুলে রাখতে আরও একটি খাতা ব্যাবহার করা হয়। আর এত খাতার বোঝা কমাতে এবং রোগীদের সুষ্টু পরিষেবা দিতে এবার এই এএনএমদের ওপর থেকে খাতার বোঝার ভার কমাতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি এএনএম দের সংগঠন ওয়েস্টবেঙ্গল অক্সিলারি নার্স মিডওয়াইফারি এমপ্লয়িজ সোসাইটি। এদিন এই সংগঠনেরই অন্যতম কর্তা রেখা সাহু বলেন, “এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। যত দ্রুত বাস্তবায়িত হয় ততই মঙ্গল।” সব মিলিয়ে মান্ধাতার আমলের নিয়ম বদল করে নার্সদের মুখে হাসি ফোটাতে তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!