অবশেষে কি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গ কি ছাড়তে চলেছেন হেভিওয়েট পিতা-পুত্র জুটি? বিধানসভার আগে জল্পনা জাতীয় বিজেপি রাজনীতি August 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই কৌতূহল তুঙ্গে। কিন্তু তার আগেও জাতীয় রাজনীতিতে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে হয়তো এ বছরের শেষেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এখন চলছে প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বর্তমানে বিহারের শাসক দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির বলে জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন আলোচনা। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদব এই মুহূর্তে জেলে থাকায় বিরোধী শিবির বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে জায়গায় এনডিএ শিবির যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে। কিন্তু তা সত্বেও দলের মধ্যেই যেভাবে গন্ডগোল শুরু হয়েছে, তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোড়ন চলছে বিহার রাজনৈতিক শিবিরে। বিহারে এই মুহূর্তে জোট শরিকরা একে অপরের বিরুদ্ধে শুরু করেছে তীব্র আক্রমণ। যেরকম নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নিয়মিত আক্রমণ করে চলেছে বিজেপির জোট সঙ্গী লোক জনশক্তি পার্টি। লোক জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। তবে এই মুহূর্তে দল চলছে রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিড়াগ পাসওয়ানের নেতৃত্বে। রামবিলাস পাসোয়ানকে জাতীয় রাজনৈতিক মহলে বরাবরই ‘হাওয়া মোরগ’ বলে অভিহিত করা হয়। কারণ, তিনি সুযোগ সুবিধা মতন যেদিকে খুশি সেদিকে ঘুরে যান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একই প্রশ্ন উঠেছে এবার চিরাগকে ঘিরেও। তবে চিরাগ পাসওয়ান ইতিমধ্যে দলীয় কর্মীদের কাছে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তিনি আর কিছুদিনের মধ্যে নীতীশ কুমারের সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। এলজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকের অপেক্ষা করছেন তিনি। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে বিজেপি শিবিরেও নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছে অনেক নেতার। সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যা আচরণ করেছেন, তা মানতে পারছেন না অনেকেই। উপরন্তু বিহারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নেননি। যার ফলে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে রাজ্যের শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, তা কিন্তু বিরোধীদের বেশ কিছুটা সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আপাতত বিহারের বিধানসভা নির্বাচন জেতার জন্য এনডিএ শিবির কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সে দিকেই এখন নজর সবার। আপনার মতামত জানান -