এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়ে দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! সর্বস্বান্ত প্রবীণ দম্পতি!

স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়ে দেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! সর্বস্বান্ত প্রবীণ দম্পতি!


মানুষের মাথা ভেঙে অর্থ নেওয়ার মত প্রতারকের খোঁজ বারবার মিলেছে বাংলায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কড়া বার্তা বা শাস্তি দিয়ে অন্যান্যদের পক্ষ থেকে যাতে এই শাস্তি আর দ্বিতীয়বার না হয়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার করোনা ভয়াবহতার সময় ক্যান্সার আক্রান্তকে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করিয়ে দেওয়ার নাম করে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে।

যে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ণব মন্ডল নামে সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিকে। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের ভাতছালার পিওনপাড়ায় ধৃত অর্নব মন্ডলের বাড়ি। রায়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এদিকে এই ব্যক্তির কাছেই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করতে আসেন রায়না থানার মিলকিডাঙ্গার বাসিন্দা গৌরচন্দ্র দাস। জানা গেছে, তিনি নিজে যেমন ক্যান্সার রোগী, ঠিক তেমনই তার স্ত্রীরও কিডনির সমস্যা রয়েছে।

ফলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পেনশনের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই তিনি অর্ণববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করবার জন্য উদ্যোগ নেন। কিন্তু অভিযোগ, অর্নব মন্ডল তাকে বলে যে, এজন্য 5000 টাকা খরচা করতে হবে। আর এর পরেই গত 25 জানুয়ারি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করার জন্য সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌর চন্দ্র দাস অর্নব মন্ডলের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র এবং 3000 টাকা জমা দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আশ্চর্যজনক এর কিছুদিন পরেই নবান্ন থেকে বলা হচ্ছে বলে একটি মেসেজ গৌড়বাবুর মোবাইলে আসে। যেখানে বলা হয় যে, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড তিনি কেন টাকা দিয়ে করিয়েছেন! তাই তার পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এরপরই রীতিমত আতংকে পড়ে যান তিনি। তবে এর থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায় যদি গৌরবাবু 2 লক্ষ 70 হাজার টাকা দেন। এদিকে সংসার চালানোর মত সেই টাকা তুলে দেন গৌরচন্দ্র দাস।

জানা গেছে, অর্ণব মন্ডলকে 4 লক্ষ 30 হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত তার এবং তার স্ত্রীর কোনো স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড না হওয়ায় এটা যে একটা বড় চক্র, তা কার্যত প্রমাণিত হয়ে গেল। যার ফলে এবার গৌড়বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অর্ণব মন্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, এদিন অর্ণব মন্ডলকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে তাকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট রতন কুমার গুপ্তা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে যদি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কিছু প্রতারক মানুষকে সর্বস্বান্ত করার খেলায় মেতে থাকেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কাকে বিশ্বাস করবেন! সরকারের যদি এই ব্যাপারে সতর্কতামুলক দৃষ্টি না থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ। করোনা আবহে এই ভাবে প্রবীণ দম্পতি প্রতারকের পাল্লায় পরে লক্ষ লক্ষ টাকা হারানোয় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে বাংলা জুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!