এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পিকে অস্ত্র ভোঁতা করে গোটা বাংলা জুড়ে ঘাসফুলের সাজানো বাগান তছনছ করতে আসরে গেরুয়া শিবির!

পিকে অস্ত্র ভোঁতা করে গোটা বাংলা জুড়ে ঘাসফুলের সাজানো বাগান তছনছ করতে আসরে গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের রাজনৈতিক যুদ্ধ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে দেখা যাচ্ছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই এই মুহূর্তে চাইছে, তাঁদের সংগঠনকে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে। আর এ ব্যাপারে সবথেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে বাংলার দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবির পাখির চোখ করেছে বাংলার বিধানসভার মসনদকে। শুধু বাংলার গেরুয়া শিবিরই নয়, কেন্দ্রের গেরুয়া নেতৃত্ত্বের চোখও এখন বাংলার ওপর। অন্যদিকে, তৃণমূলও আগামী বিধানসভায় নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রাখা নিয়ে ক্রমাগত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের দুর্গে প্রবল আঘাত করল বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ দু’জায়গাতেই সম্প্রতি ব্যাপক হারে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে সম্প্রতি চল্লিশটি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অন্যদিকে তমলুকেও প্রায় 100 টি পরিবার তৃণমূলকে ছেড়ে চলে এসেছেন বিজেপির ছত্রছায়ায়। পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুর বিধানসভা থেকে একুশের নির্বাচনে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে সরাতে বিজেপির সঙ্গ দিয়েছেন তৃণমূলের 100 জন কর্মী। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভায় একশটি পরিবার এদিন বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূল ছেড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন এলাকার 37 টি পরিবার এবং দেড়শ জন তৃণমূল কর্মী। মূলত দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলে এবং উত্তরবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবির ঘাঁটি গেড়েছে। তবে এদিন যেটা উল্লেখযোগ্য সেটা হলো বীরভূম থেকে প্রায় 100 জন তৃণমূল কর্মী দলবদল করে চলে গেলেন বিজেপি শিবিরে। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে আলোড়ন। কারণ বীরভূমে দলের হাল ধরতে এলাকায় রয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল স্বয়ং।

আর তাই অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতকালে দলের কর্মীদের একটা বড় অংশ বিজেপিতে চলে যাওয়া মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না তৃনমূল শিবিরের অনেকেই। তবে একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছিলেন এবং প্রশান্ত কিশোর বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য, সেই পুরো ব্যাপারটিতে জোরদার আঘাত হেনেছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা।

অন্যদিকে বাংলা জুড়ে বিজেপিতে যেভাবে তৃণমূল কর্মী ও পরিবারের আগমন হলো, তাতে যথারীতি খুশির মেজাজ গেরুয়া শিবিরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল শিবিরে ধ্বস নামছে তা যদি এখনই না সামাল দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু আগামী দিনে তৃণমূলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে এই দলবদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!