এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন পে-কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করা হলেও কি পাবেন না সব সরকারি কর্মচারীরা? বাড়ছে জল্পনা

নতুন পে-কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করা হলেও কি পাবেন না সব সরকারি কর্মচারীরা? বাড়ছে জল্পনা

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের জন্য পে কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই সুখবর ঘোষণা করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা তা নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা আদৌ এই কমিশনের আওতায় আসবেন কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়।

শুধু তাই নয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্মীদেরও একই সমস্যা হতে পারে। কেননা, তাঁদের জন্য এক সময় পে কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে সেক্ষেত্রে ষষ্ঠ বেতন কমিশন ঘোষণার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের ভাগ্যে কী রয়েছে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন এই অনেকেই।

একাংশের দাবি, এই পে কমিটি ঘোষণা করেও লাগু করা হয়নি। ফলে নতুন পে কমিশনের সুপারিশ মানার কথা যখন ঘোষণা করা হয়েছে, তখন এতে যেন তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্য সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা ১৩ বছরের পুরনো বেতনক্রমে বেতন পান। কেননা শেষবার গত 2016 সালে এই বেতন সংশোধন হয়েছিল।

অতীতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে প্রায় এক সময় আলাদা বেতন কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাঁদের বেতন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হতে দেখা যেত। তবে বর্তমান সরকার এই কমিটি গঠন না করায় পে কমিশনেও কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে ২০০৬ সালের বেতন দিয়ে ২০১৯ সালের বাজারদরের মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কর্মীদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি আর পাঁচটা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতো ডিএ এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হলেও কেন এই পে কমিশনের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে! তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের কী হবে তা নিয়ে বুঝতে পারছেন না কেউই।

এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্কুল-কলেজের কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের কেন এই কমিশনের আওতায় রাখা হবে না? আমরা চাই পে কমিশনের ফর্মুলা মেনেই আমাদের বেতন সংশোধন করা হোক। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গেই ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে নতুন বেতন চালু করার দাবি জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী শেখ আবুল হোসেনের বলেন, “পে কমিটি হয়নি। পে কমিশনে আমরা আছি কি না, তাও স্পষ্ট নয়। পুরো ব্যাপার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ফিটমেন্ট কমিটি করে বেতন সংশোধন করার দাবি সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সহ সভাপতি তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী সীতারাম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ব্যাপারে কিছু ঘোষণা হয়নি ঠিকই। তবে আমরা অপেক্ষা করছি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক আছে। সেখানেই নিশ্চয় স্পষ্ট হয়ে যাবে।” সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পে-কমিশনের ঘোষণায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা খুশি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা কাজে দেবে কিনা, এখন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!