এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আনতেই প্রাক্তন বিধায়কের হুমকি

পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আনতেই প্রাক্তন বিধায়কের হুমকি


উৎসবের নামে জোর করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না বলে বিভিন্ন ক্লাব কর্তা ও প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যেই প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এখন সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধেই উঠল চাদাতে জুলুমবাজের অভিযোগ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কালীপুজোর জন্য পূর্বস্থলী থানার পক্ষ থেকে কুপন ইস্যু করে জোর করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যেখানে সেই পূর্বস্থলীর দত্তপাড়ার এক যুবকের কাছ থেকে বলপূর্বক 5000 টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে।

আর এই ঘটনার পরই ওই যুবক গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর এরপরই সেই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং এক প্রাক্তন বিধায়ক এর হুমকির মুখে পড়তে হয় সেই যুবককে।

অভিযোগ,  গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার এক প্রাক্তন বিধায়ক ওই যুবককে ফোন করে নিজের অফিসে ডেকে পাঠান। এমনকি না এলে লোকজন গিয়ে তুলে আনবে বলেও হুমকি দেন ওই প্রাক্তন বিধায়ক। আর এরপরই রীতিমত আতঙ্কে ও আশঙ্কায় এই গোটা ঘটনাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে জানান সেই যুবক।

এদিকে শুধু বিধায়ক নন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই চাঁদার জুলুম এর অভিযোগ তোলার জন্য প্রতিনিয়ত চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে এই যুবককে বলে অভিযোগ। এদিন এই প্রসঙ্গে সেই যুবক বলেন, “পুলিশ আমাকে কখনো গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া আবার কখনো প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাও ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন। বাড়ির পাশেও দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে। কি করব তা বুঝতেই পারছি না।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে অভিযোগকারী যুবক লাগাতার হুমকির মুখে পড়া প্রসঙ্গে এদিন জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “তদন্ত চলছে রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তবে ঠিক কী রিপোর্ট হবে? আর সেই রিপোর্ট মোতাবেক আদৌ কোনো ব্যবস্থা দোষীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!