পুলিশ প্রশাসনকে রীতিমত হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়ে কি বিতর্ক তৈরী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? চলছে ব্যাপক চর্চা বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য July 20, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একইভাবে ঝাঁজ বজায় রেখেছেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি রাজ্যের আইন ব্যবস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে পুলিশ প্রশাসনকেও একহাত নিয়েছেন তিনি আজ। প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থেকে জয় পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি হারিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আত্মবিশ্বাস এই মুহূর্তে তুঙ্গে। আর সেই আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই এবার তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন পুলিশ প্রশাসনকে। কার্যত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি সমর্থক ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আর তারই প্রতিবাদে আজ তমলুকের নিমতৌড়িতে এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই পুলিশের এসপি এবং গোটা পুলিশ মহলকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, যদি রাজ্যে তৃণমূলের কথা শুনে পুলিশ চলে তাহলে কাশ্মীরে গিয়ে ডিউটি করতে হবে। তিনি পরিষ্কার বলেন, রাজ্য সরকার যদি পুলিশদের পরিচালিত করে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের হাতে রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব খাটিয়ে রাজ্যের পুলিশকে সমস্যায় ফেলা হবে। একই সাথে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, প্রত্যেকের ফোনের কল রেকর্ড ও নাম্বার তাঁদের কাছে মজুত আছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। অতএব শুভেন্দু অধিকারী যে দাবী করেছেন, তা কিন্তু বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী পাশাপাশি দাবি করেছেন 26 জুলাই থেকে 6 ই আগস্ট কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ইডির তরফ থেকে সাতজন এসপিকে দিল্লি ডাকা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইসাথে নিচুতলার পুলিশকর্মীদেরও তিনি সাবধান করেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কথা শুনলে তাঁদের চাকরী নিয়ে টানাটানি হতে পারে। অন্যদিকে আগামী 9 আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রায় এক লক্ষ লোকের জমায়েত করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীর হুমকি হুঁশিয়ারি কতটা ভালো ভাবে বিজেপি নেবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল চর্চা। যেভাবে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে হুমকি এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তা কি সধারণ মানুষের থেকে বিজেপিকে আরও দূরে সরিয়ে দেবেনা? তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আপাতত 9 আগস্ট যদি সত্যি সত্যিই এক লক্ষ লোকের সমাবেশ হয় করোনার বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করে, তাহলে কার্যত তা রাজ্য সরকারের কাছে অত্যন্ত চাপের হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই কর্মসূচি ঠেকাতে এখন তৃণমূল সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -