প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কোচবিহার জেলায় তৃনমূলের সাংগঠনিক রদবদল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুব মুখ পার্থপ্রতিম রায়কে। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মশগুল কোচবিহার জেলাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল ফোটাতে উদ্যোগী হয়ে পড়েছেন পার্থবাবু।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিধানসভা ধরে ধরে বিভিন্ন নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগামী দিনে কিভাবে পথ চলতে হবে, তার ব্যাপারে রণকৌশল তৈরি করেছেন নবনির্বাচিত জেলা তৃণমূলের সভাপতি। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। যেখানে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ আগামী দিনের সংগঠনের ওপর ভিত্তি করেই যে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বুথ ধরে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ঠিকমত নিজেদের রাজনৈতিক রণকৌশল সাজাতে পারেনি। যার ফলে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মোতাবেক সবথেকে বেশি সংগঠনের ওপর জোর দিয়েছে শাসকদল। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এবার রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন সংগঠনের দিকে জোর দিতে শুরু করলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “সংগঠন আগের থেকে শক্তিশালী হয়েছে। কিছু বিষয় রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কাজ হচ্ছে।”

তবে তৃণমূল এখন বুথের সংগঠনের ওপর দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাপাতে চাইলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন আর মানুষ নেই। কিছু জায়গায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজন সঙ্গে রয়েছে। তাই বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করে কোনো লাভ নেই।” সব মিলিয়ে বুথস্তরের সংগঠনের ওপর জোর দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কতটা পরিবর্তন আনতে পারে কোচবিহারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।